|
|
|
|
মহিলা তৃণমূলের আন্দোলনে বন্ধ ব্যাঙ্ক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
একজনের চেক নিয়ে টাকা তুলেছেন অন্য জন। থানায় অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ গ্রেফতার করেছিল যিনি টাকা তুলেছেন সেই মহিলাকে। তাঁকে গ্রেফতারের জন্য দায়ী ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগে আন্দোলন করল মেদিনীপুর শহর মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের দাবি, ওই মহিলার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে। এই ঘটনার জেরে বন্ধ নির্ধারিত সময়ের আগেই বন্ধ করতে হল মেদিনীপুর শহরের রাজাবাজারের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের একটি শাখা।
মেদিনীপুর পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেনাপুকুরে দু’জন শিখা দাস রয়েছেন। একজন শিখা দাসের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট রয়েছে। অন্য জন স্থানীয় মিড ডে মিলের ‘কুক কমিটির’ সম্পাদিকা। ওই কমিটির নামে তাঁর একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। যাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট রয়েছে, সেই শিখা দাসকে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে চেক বই পাঠানো হয়েছিল। ডাক বিভাগের ভুলে তা চলে যায় কুক কমিটির সম্পাদিকার কাছে। তিনি সেই চেকে টাকা তোলেন।
যিনি টাকা তুলেছিলেন সেই শিখা দাসের অভিযোগ, “যদি টাকা আমার না হয় তাহলে ব্যাঙ্ক তা দিল কেন? কেন আমাকে পুলিশে দেওয়া হল।” ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের পাল্টা যুক্তি, কাজ করতে গিয়ে সামান্য ভুল হতেই পারে। সম্পাদিকা শিখাদেবী তো জানতেন তাঁর কোনও ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট নেই। ফলে তাঁর চেকে কুক কমিটি লেখা থাকার কথা। কিন্তু উনি যে চেক পেয়েছেন তাতে শিখা দাসের নাম লেখা। তা সত্ত্বেও তিনি কেন টাকা তুলতে গেলেন?
ব্যাঙ্কের ম্যানেজার অতনু মিত্র বলেন, “আমাদের দিক দিয়ে ছোট্ট একটা ভুল ছিল এটা ঠিক। উনি প্রভাব খাটিয়ে ও ভুল বুঝিয়ে টাকা তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন। পরে যাঁর টাকা তুলেছিলেন তিনিই থানায় অভিযোগ করেন। তাই পুলিশ গ্রেফতার করে।” কিন্তু চেকে তো নাম, অ্যাকাউন্ট নম্বর এমনকী ছবিও ছিল। তাছাড়া সই মেলানো হয়। তা সত্ত্বেও কী ভাবে অন্য শিখা দাসকে টাকা দেওয়া হল? সদুত্তর মেলেনি। শহর মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের শহর সভাপতি মৌ রায় বলেন, “ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ কিভাবে ভুল করলেন। এর ফলে তো ব্যাঙ্কের নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন উঠবে। তারই বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই ব্যাঙ্কে গিয়েছিলাম।” |
|
|
|
|
|