|
|
|
|
উল্টে পড়ল বহু গাছ, বাতিস্তম্ভ |
অল্পক্ষণের কালবৈশাখী, ক্ষতি অনেক |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
মরসুমের প্রথম বড় কালবৈশাখীতেই লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল শহর। ঝড়ের দাপটে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় গাছ ও ল্যাম্পপোস্ট উপড়ে বুধবার সন্ধ্যায় বিপর্যস্ত হয়ে যায় শহরের যান চলাচল ব্যবস্থা। পূর্ব রেলের হাওড়া মেন এবং শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচলও বন্ধ হয়ে যায় কালবৈশাখীর জন্য। ঝড়ের কারণে কলকাতামুখী দশটি বিমানকে আকাশেই অপেক্ষা করতে বলা হয়। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, প্রায় আধ ঘণ্টা আকাশে চক্কর খাওয়ার পরে হাওয়ার দাপট কমলে বিমানগুলিকে অবতরণ করানো হয়। কিন্তু ঝড়ে কিছুটা লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় নতুন টার্মিনাল। টার্মিনালের ভিতরে উপর থেকে খসে পড়ে দু’টি অ্যালুমিনিয়ামের রড। তবে কেউ আহত হননি। ঢোকার গেটে সেন্সর অনেক জায়গায় কাজ করেনি। ফলে আটকে যান যাত্রীরা।
পুলিশ জানায়, বিদ্যুতের তারে গাছের ডাল পড়ে কোথাও কোথাও সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঝড়বৃষ্টিতে অফিস-ফেরত লোকজন আটকে পড়েন বিভিন্ন বাসস্টপে। যান চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় তাঁদের বাড়ি ফিরতে অনেক রাত হয়ে যায়। লালবাজারের এক পুলিশকর্তা জানান, বিভিন্ন রাস্তা থেকে গাছ সরাতে কাজে লাগানো হয় কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং কলকাতা পুরসভার কর্মীদের। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (পার্ক এবং উদ্যান) দেবাশিস কুমার জানান, শহরের বিভিন্ন জায়গায় ৭০-৮০টি গাছ ভেঙে পড়ে। বুধবার রাতের মধ্যেই পড়ে থাকা গাছ সরানোর কাজ চলছে। ঝড়ে অনেক বহুতলের জানলার কাচও ভেঙে পড়ে। |
|
ভেঙে পড়েছে গাছ। সরানোর চেষ্টা পুলিশকর্মীদের। বুধবার রাতে, ময়দানে। ছবি: রণজিৎ নন্দী |
কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ জানায়, গাছ বা গাছের বড় ডাল ভেঙে পড়ায় হরিশ মুখার্জি রোড, বেলভেডিয়ার রোড, দুর্গাপুর ব্রিজ, কমিশরিয়েট রোড, ডি এল খান রোডে এ দিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দীর্ঘক্ষণ যান চলাচল বন্ধ থাকে। এ ছাড়া, আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সের সামনে ডায়মন্ড হারবার রোড, কসবা কানেক্টর, বিজন সেতু (পূর্ব দিক), হসপিটাল রোড, ক্যাথিড্রাল রোড, রোটারি সদনের সামনে জওহরলাল নেহরু রোডে যান চলাচল আংশিক ভাবে বন্ধ রাখতে হয়। অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার গাড়ির অভিমুখ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। লেক কালীবাড়ি সংলগ্ন রাস্তায় এবং এলগিন রোডের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির উপরে গাছ পড়ে। তবে গাড়ির ভিতর কেউ না থাকায় হতাহতের খবর নেই।
কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে খবর, ঝড়ে টালিগঞ্জ ফাঁড়ির কাছে চারটি ল্যাম্পপোস্ট উল্টে পড়ে। নিউ আলিপুরে ল্যাম্পপোস্ট পড়ে আহত হন এক জন। ওই সব রাস্তা বেশ কিছু ক্ষণের জন্য বন্ধও করে দিতে হয়।
মানিকতলা এবং বাগমারিতেও গাছ পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। লেক টাউন থানার পুলিশ জানায়, এস কে দেব রোডের ধারে মোবাইল ফোনের টাওয়ার উল্টে পড়ে একটি বাড়ির ছাদে। তবে কেউ হতাহত হননি।
সিইএসসি কর্তৃপক্ষ জানান, গাছ ভেঙে বিদ্যুতের তারে পড়ে উত্তর এবং দক্ষিণ কলকাতার কিছু এলাকায় লোডশেডিং হয়। কয়েকটি ক্ষেত্রে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে ট্রান্সফর্মারের উপরে। তার জেরেও স্থানীয় ভাবে লোডশেডিং হয়। |
|
|
|
|
|