ভারতে প্রথম মোবাইল ফোন পরিষেবা চালু হয়েছিল কলকাতা থেকে। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে ১৮ বছর পরে মোবাইল ফোন থেকে অন্যকে টাকা পাঠানোর পরিষেবা ‘এম-পেসা’-র সূচনা কলকাতা থেকেই করল ভোডাফোন।
পাশাপাশি, প্রথম পর্যায়ের পরিষেবার আওতায় রয়েছে আরও তিনটি সার্কেল: পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও ঝাড়খণ্ড। সংস্থার দাবি, প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা নেই, সেখানেও আমজনতার কাছে ব্যাঙ্কের ন্যূনতম পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য (ফিনান্সিয়ান ইনক্লুশন) পূরণ করবে এই উদ্যোগ।
বুধবার চারটি সার্কেলে ওই পরিষেবা চালুর কথা জানিয়ে ভোডাফোনের এমডি তথা সিইও মার্টিন পিটার্স জানান, ধাপে ধাপে অন্য সার্কেলেও তা চালু হবে। এবং সব কিছু ঠিকঠাক চললে ১২-১৮ মাসে দেশ জুড়েই মিলবে এই পরিষেবা।
আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর রাজীব সবরওয়াল জানান, ভবিষ্যতে এই পদ্ধতিতে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-সহ অন্যান্য পরিষেবা চালুর ভাবনাও তাঁদের রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ‘এম-পেসা’ অ্যাকাউন্টে রাখা টাকার উপর সুদও মিলতে পারে।
ছ’বছর আগে কেনিয়ায় এই পরিষেবা চালুর পরে সাতটি দেশে তা ছড়িয়েছে ভোডাফোন। ভারত অষ্টম দেশ। সংস্থার কর্তারা জানান, যে-কোনও ভোডাফোন গ্রাহক ‘এম-পেসা’ বিপণন কেন্দ্রে গিয়ে এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। নির্দিষ্ট শর্তাবলি পূরণ করার পরে তিনি যে-কাউকে (যে কোনও মোবাইল পরিষেবায়) টাকা পাঠাতে পারবেন। প্রাপককে এ জন্য আলাদা করে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে না।
প্রেরক টাকা পাঠানোর পরে প্রাপকের মোবাইলে নির্দিষ্ট তথ্য-সহ একটি এসএমএস আসবে। সেটি কাছাকাছি ‘এম-পেসা’ বিপণন কেন্দ্রে দেখিয়ে প্রেরকের পাঠানো টাকা হাতে পাবেন তিনি। এ ছাড়া ডিটিএইচ পরিষেবা রিচার্জ করানো কিংবা বিদ্যুতের মতো কিছু পরিষেবার বিলও এম-পেসা অ্যাকাউন্টের গ্রাহক মেটাতে পারবেন এই পদ্ধতিতে।
ভোডাফোন ও আইসিআইসিআই-এর দাবি, এম-পেসা-র খরচও প্রথাগত ব্যবস্থার তুলনায় কম। বস্তুত, ভারতের বিপুল সংখ্যক মোবাইল গ্রাহকের মাধ্যমেই নতুন ব্যবসার সন্ধান পাচ্ছে তারা। এ ক্ষেত্রে দুই সংস্থা একে অন্যের পরিকাঠামো ব্যবহার করবে। |