বিমায় বাড়তি সুবিধা
আরও একটু বেশি পেলে...
গের সংখ্যায় জীবনবিমা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি আমরা। জানতে চেষ্টা করেছি, মূলত কী কী ধরনের প্রকল্প এখন বাজারে চালু। তবে আজকের তুল্যমূল্য প্রতিযোগিতার বাজারে গ্রাহক টানতে অনেক সময়েই শুধু মূল প্রকল্প বিক্রি করে না বিমা সংস্থা। বরং তাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে সঙ্গে জুড়ে দেয় অতিরিক্ত সুবিধা। এ জন্য গ্রাহককে বাড়তি কড়ি গুনতে হয় বটে। কিন্তু তেমনই অতিরিক্ত পরিষেবাও পান তিনি। বিমা দুনিয়ায় এই বাড়তি সুবিধার নামই রাইডার।

রাইডারের রকমফের
বিমা সংস্থাগুলি তাদের বিভিন্ন প্রকল্পের সঙ্গে হাজার রকম বাড়তি সুবিধা দিতে পারে। এই স্বল্প পরিসরে তাদের সবগুলি সম্পর্কে আলাদা আলাদা আলোচনা করা সম্ভব নয়। তাই আজ মূলত তিন ধরনের রাইডারকে বেছে নিচ্ছি আমরা
• দুর্ঘটনাজনিত সুবিধা (অ্যাক্সিডেন্ট বেনিফিট)
• কঠিন রোগে চিকিত্‌সায় সুবিধা (ক্রিটিকাল ইলনেস বেনিফিট)
• পরিবারের আয়ের রাস্তা খোলা রাখার সুবিধা (ফ্যামিলি ইনকাম বেনিফিট)

দুর্ঘটনায় পাশে
এমনিতেই জীবনবিমায় বিশেষ কয়েকটি ক্ষেত্র ছাড়া (যেমন আত্মহত্যা) প্রায় সর্বত্র গ্রাহকের মৃত্যু হলে, নমিনির টাকা পাওয়া নিশ্চিত। কিন্তু সঙ্গে অ্যাক্সিডেন্ট বেনিফিট নেওয়া থাকলে, দুর্ঘটনায় গ্রাহকের মৃত্যু হলে পরিবার বেশ কিছু বাড়তি সুবিধা পেতে পারে । যেমন
• পাওয়া যেতে পারে বিমার অঙ্কের দ্বিগুণ পর্যন্ত টাকা।
• দুর্ঘটনায় পঙ্গু হয়ে পড়লেও অতিরিক্ত সুবিধা পেতে পারেন গ্রাহক। এমন প্রকল্পও আছে, যেখানে একশো শতাংশ পঙ্গুত্বের ক্ষেত্রে বিমার পুরো টাকা তখনই পেয়ে যাবেন তিনি। মেয়াদের বাকি সময়ে আর দিতে হবে না প্রিমিয়ামও।
• আংশিক পঙ্গুত্বের ক্ষেত্রে বিমার টাকার ৫০ শতাংশ পর্যন্ত অতিরিক্ত অর্থ সঙ্গে সঙ্গেই পাওয়া সম্ভব। তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্য মেয়াদের বাকি সময়ে দিয়ে যেতে হবে প্রিমিয়াম। তবেই মেয়াদ শেষে বোনাস-সহ ‘ম্যাচিওরিটি’র টাকা পাবেন আপনি।
একটা কথা অবশ্যই মনে রাখবেন, সংস্থা ভেদে দুর্ঘটনা সংক্রান্ত রাইডারের সুযোগ-সুবিধা কিংবা তাদের শর্ত কিন্তু এক্কেবারে আলাদা হতে পারে। তাই তা বাছাইয়ের আগে বিস্তারিত খোঁজ-খবর নিতে ভুলবেন না।

চিকিত্‌সার খরচ জোগাতে
আজকাল চিকিত্‌সার খরচ আকাশছোঁয়া। তাই দু’পয়সা বাড়তি গুনেও ক্রিটিকাল ইলনেস রাইডার কিনে রাখছেন অনেকেই। এটি থাকলে, বেশ কিছু কঠিন অসুখের চিকিত্‌সার খরচ পাওয়া সম্ভব হয় গ্রাহকের পক্ষে। কোন কোন চিকিত্‌সার খরচ পাওয়া যাবে, তাও স্পষ্ট করে দেওয়া আছে বিমা নিয়ন্ত্রক আইআরডিএ-র তালিকায়। সেখানে রয়েছে ক্যান্সার, হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা-সহ ১১ রকমের জটিল ব্যাধি। সাধারণ ভাবে নিয়ম হল, রাইডার কেনার অন্তত ছ’মাস পরে রোগ ধরা পড়লে, তবেই টাকা পাবেন গ্রাহক। কিন্তু মনে রাখবেন, এই রাইডারের সঙ্গে কিন্তু স্বাস্থ্য বিমার (মেডিক্লেম) কোনও সম্পর্ক নেই। অসুস্থ হলে, দু’জায়গা থেকেই টাকা পেতে গ্রাহকের কোনও বাধা নেই।

পরিবারের সুরক্ষায়
প্রায়ই দেখা যায়, পরিবারের প্রধান (বিশেষত একমাত্র) উপার্জনকারীর মৃত্যু হলে কিংবা তিনি কোনও দুর্ঘটনায় পঙ্গু হয়ে পড়লে, অকূলে পড়ে তাঁর পরিবার। মোটা অঙ্কের বিমা করা থাকলে, অবশ্যই কিছুটা সুরাহা হয়। কারণ, সে ক্ষেত্রে গ্রাহকের মৃত্যু হলে এক লপ্তে হাতে আসে বড় অঙ্কের টাকা। কিন্তু তার সঙ্গে যাঁরা প্রতি মাসে পরিবারের নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পাওয়াও নিশ্চিত করতে চান, তাঁরা ফ্যামিলি ইনকাম বেনিফিটের কথা ভেবে দেখতে পারেন।
এই রাইডার নেওয়া থাকলে, গ্রাহকের মৃত্যু হলে বা তিনি স্থায়ী ভাবে পঙ্গু হয়ে পড়লে, প্রতি মাসে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা হাতে পাবে তাঁর পরিবার। তবে কত টাকা কত দিন পর্যন্ত পাওয়া যাবে, সে-সব নির্ভর করবে পলিসির শর্তের উপর।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.