নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
লরির ধাক্কায় এক ব্যক্তির মৃত্যুকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল রামপুরহাটের ভাঁড়শালামোড় সংলগ্ন এলাকা। ক্ষতিপূরণের দাবিতে এলাকাবাসীর একাংশ টায়ার জ্বালিয়ে রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। দমকল ও পুলিশকর্মীরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। জখম লরির চালক অশোক সিংহ বলেন, “মঙ্গলবার রাতে কয়েক জন আমাকে নলহাটির আগে গাড়ি দাঁড় করানোর জন্য বলেছিল। তাদের এড়িয়ে চলে আসি। দেখি তিনটি মোটরবাইকে করে ওরা লাঠি, বাঁশ-কাঠ নিয়ে ধাওয়া করছে। উদ্দেশ্য কী ছিল বুঝতে পারিনি। রামপুরহাটে ঢোকার পরে একজন আমাকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে। এরপরে গাড়ি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারিনি।”
অবরোধকারীরা জানান, ওই লরি প্রথমে দাঁড়করানো একটি বাইকে ধাক্কা মারে। পরে সাইকেল আরোহী রামপুরহাট হাসপাতাল পাড়ার মহম্মদ ইয়ার শেখকে (৪৯) ধাক্কা মারলে তিনি মারা যান। সব শেষে গ্যারাজে ধাক্কা মারে। অভিযোগ, এই দুর্ঘটনার জন্য নলহাটির গোপালপুর এলাকার তোলাবাজরা দায়ী। লরি চালক তোলা দিতে রাজি না হওয়ায় তোলাবাজরা তাঁকে ধাওয়া করছিল। বাসিন্দাদের হাতে আটকে পড়া বাইকআরোহী শচীন শেখের দাবি, “কয়থা মোড়ে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে লরটিকে ধাওয়া করা হয়েছিল। চালককে ইট ছোড়া হয়েছে কি না জানা নেই। আমরা দু’জন লরিটির পিছনে ছিলাম।” ওই যুবক নলহাটির উপপুরপ্রধান ইমাম হোসেনের ভাইপো। তাঁরও দাবি, “দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ভাইপো-সহ আরও অনেকে লরিটিকে ধাওয়া করেছিল। তোলার অভিযোগ মিথ্যা।” পুলিশ জানায়, কোনও অভিযোগ হয়নি। অন্য দিকে, বুধবার দুবরাজপুর থানা এলাকার গোকরুল গ্রামের কাছে রাস্তা পার হওয়ার সময় পাথর বোঝাই লরির ধাক্কায় মারা গেল তিনটি বাছুর। ওই লরিটি ভীমগড়ে আর একটি দাঁড়িয়ে থাকা লরি ও সাইকেলে ধাক্কা মেরে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। |