লাইনে ‘ক্লোজ’ এএসআই
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হল বর্ধমান থানার এক এএসআই-কে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে বর্ধমানের বড়বাজারে এক যুবককে হয়রানির অভিযোগ উঠেছিল কৃষ্ণসখা বিশ্বাস নামে ওই এএসআইয়ের বিরুদ্ধে। বিসি রোডে ওই যুবকের দাঁড় করিয়ে রাখা সাইকেলের জন্য পুলিশের ভ্যান যেতে বাধা পাওয়ায় গোলমালের সূত্রপাত। পুলিশের সঙ্গে যুবকটির বচসা বাধে। বর্ধমান থানার আইসি দিলীপ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ওই এএসআই যুবকটিকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। এর জেরে এলাকায় অশান্তি ছড়ায়। পুলিশের গাড়িটি ঘণ্টা দুয়েক আটকে রাখেন ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। পরে থানা থেকে অফিসারেরা গিয়ে আলোচনা করে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনেন। রাতেই পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয় ওই এএসআই-কে। |
ডাকাতির চেষ্টা
নিজস্ব সংবাদদাতা • পূর্বস্থলী |
একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের তালা ভেঙে ডাকাতির চেষ্টা চালাল দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার রাতে পূর্বস্থলী ১ ব্লকের জাহাননগর এলাকার ঘটনা। বুধবার সকালে ব্যাঙ্কে ঢুকতে গিয়ে কর্তৃপক্ষ দেখেন তালা ভাঙা। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দেখে ভেতরে আরও বেশ কয়েকটি জায়গার তালা ভাঙা। তবে ভল্টের তালা ভাঙা যায়নি। ব্যাঙ্কে ঢোকার আগে দুষ্কৃতীরা সিসিটিভি-র তার ছিন্ন করে।
|
খাতা দেখতে চাইতেই বাড়ল নম্বর, তবু মামলা |
মেঘ না-চাইতেই বাড়তি নম্বর! জিশান সানে আলম নামে বর্ধমানের সিএমএস হাইস্কুলের এক ছাত্র তথ্য জানার অধিকার আইনে উচ্চ মাধ্যমিকের ইংরেজি ও বাংলা পরীক্ষার উত্তরপত্র দেখতে চেয়ে আবেদন করেন। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ তাঁকে ইংরেজি ও বাংলা উত্তরপত্রের প্রতিলিপি দেয়। জিশান দেখেন, তাঁর ইংরেজির নম্বর ৭৪ থেকে বাড়িয়ে ৯১ করে দেওয়া হয়েছে। অবশ্য তাতেও খুশি নন তিনি। তাঁর দাবি, ইংরেজি ও বাংলায় তাঁর নম্বর আরও বাড়বে। এই নিয়ে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। ওই ছাত্রের দাবি সম্পর্কে সংসদের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছেন বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত। উত্তরপত্র দেখে বিচারপতি নিজে অবশ্য ছাত্রটির দাবির সঙ্গে একমত। তবে যে-হেতু তিনি এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নন, তাই সংসদের মতামত জানতে চান। আবেদনকারীর আইনজীবী এক্রামুল বারি বলেন, জিশান ২০১২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে প্রথম ২০ জনের মধ্যে স্থান পান। জয়েন্ট এন্ট্রান্স পাশ করে তিনি এখন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে পড়ছেন। ইংরেজিতে নম্বর বাড়ায় ২০ জনের তালিকায় অনেকটা উপরে উঠে এসেছেন। বাংলায় নম্বর বাড়লে তিনি প্রথম তিনের মধ্যে চলে আসবেন বলে জিশানের দাবি। বাংলা, ইংরেজি ছাড়া সব বিষয়েই ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর আছে তাঁর। বাংলায় পেয়েছেন ৮২। আইনজীবী জানান, বাংলাতেও ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পাবেন বলে ধারণা জিশানের। |