জিটিএ-র নানাবিধ সমস্যার সমাধানে ফের যাতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকা হয়, সে জন্য রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি দিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ। মঙ্গলবার দুপুরে সিকিম সফরে পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি। বিকেল ৪টে নাগাদ গ্যাংটকের রাজভবনে তাঁর সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি দেন মোর্চা নেতারা। আগামী সোমবার দিল্লিতে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে সময় চেয়েছেন গুরুঙ্গরা। পরে বিমল গুরুঙ্গ বলেন, “জিটিএ চালাতে কী ধরনের অসুবিধে হচ্ছে তা সংক্ষেপে জানিয়েছি। সমস্যা মেটাতে কেন্দ্র ও রাজ্যের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক চাই। তা যাতে তাড়াতাড়ি হয় সে জন্য অনুরোধও করেছি। উনি আমাদের সমস্যা ও দাবির কথা শুনেছেন।” |
সিকিমে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। সোমবার তোলা নিজস্ব চিত্র। |
এ দিন সকালে বাগডোগরায় পৌঁছন রাষ্ট্রপতি। সেখানে জেলা প্রশাসন তথা উত্তরবঙ্গের শীর্ষ অফিসাররা তাঁকে স্বাগত জানান। রাজ্য সরকারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। বিমানবন্দর থেকে বিশেষ হেলিকপ্টারে রাষ্ট্রপতি গ্যাংটকে পৌঁছলে তাঁকে স্বাগত জানান সিকিমের রাজ্যপাল বাল্মিকী প্রসাদ সিংহ এবং মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিং। সেখানে দক্ষিণ সিকিমের নামচিতে সিদ্ধেশ্বরধাম যান রাষ্ট্রপতি। দেড়টা নাগাদ রাষ্ট্রপতি গ্যাংটকে পৌঁছন। গ্যাংটকে মহাত্মা গাঁধী মার্গে গাঁধীর মূর্তিতে শ্রর্দ্ধাপণ করেন তিনি। সন্ধ্যায় মনন কেন্দ্রে রাজ্যের সংস্কৃতি দফতরের উদ্যোগে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি যোগ দেন। |
রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়কে স্বাগত জানাতে শিলিগুড়িতে
রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। মঙ্গলবার তোলা নিজস্ব চিত্র। |
বিকেলে মোর্চা নেতারা রাষ্ট্রপতির কাছে যান। তাঁদের স্মারকলিপিতে দার্জিলিঙে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা, সংরক্ষতি বনাঞ্চলের ক্ষমতা জিটিএর হাতে তুলে দেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে। স্মারকলিপি দেওয়ার পরে মোর্চা সভাপতি এই দিন বলেছেন, “জিটিএ বিষয়ে রাজ্যের হস্তক্ষেপ বাঞ্ছনীয় নয়। রাজ্যকে জিটিএর ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। জিটিএকে সুযোগ দিতে হবে। তার পরেই প্রমাণ হবে যে জিটিএ ভাল ভাবে চালাতে আমরা সক্ষম।” এ মোর্চার প্রতিনিধি দলে গুরুঙ্গ ছাড়াও রোশন গিরি, কালিম্পঙের বিধায়ক হরকাবাহাদুর ছেত্রী ও কাউন্সিলরেরা ছিলেন। |