বিপিএল কার্ডের জন্য আবেদনকারীদের হয়রানি ঠেকাতে আরও স্বচ্ছতা আনার উপর জোর দিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব। মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকের পর তিনি তা জানান। বিপিএল তালিকায় ভুল সংশোধনের ক্ষেত্রেও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বলেছেন আধিকারিকদের। মন্ত্রী বলেন, “প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দারা অনেকেই বিপিএল তালিকায় নাম তোলার আবেদন করতে গিয়ে হয়রান হন বলে অভিযোগ করেন। বাসিন্দাদের স্বার্থে বিভিন্ন কাজের পরামর্শ যখন চাওয়া হয় তখনও এ কথা তাঁরা জানিয়েছেন। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। স্বচ্ছতা বজায় রেখে ওই কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ‘মানুষের কাছে চলো’ কর্মসূচি শুরু হয়। তাতে বাসিন্দাদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচির নেওয়া হয়। পায়ে হেঁটে খড়িবাড়ি ব্লকের বুড়াগঞ্জ, বিন্নাবাড়ি, বাগডোগরার একাংশ, নকশালবাড়ির হাতিঘিষা, মনিরাম-সহ বিভিন্ন এলাকায় যান মন্ত্রী। রাতে চা শ্রমিকের বাড়িতেও থাকেন। সে সময় বাসিন্দারা সে সব সমস্যার কথা জানিয়েছেন তার মদ্যে বিপিএল তালিকায় আবেদনের ক্ষেত্রে তাঁদের কী ভাবে হয়রান হতে হয় তা জানিয়েছিলেন অনেকেই। সেই মতো ওই সমস্যা মেটাতে তত্পর হন গৌতমবাবু। অন্য বিষয়ের মধ্যে পাট্টা প্রদান, দু’হাজারের বেশি রেশন কার্ডের চাহিদা পেশ, ধীমাল জনজাতিকে তফসিলি উপজাতি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া দাবিও ছিল।
এ দিন কারিগরি দফতর, ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর, স্বাস্থ্য, সংখ্যালঘু উন্নয়ন-সহ মোট ১২ টি দফতরের প্রতিনিধিদের ডাকা হয়েছিল বৈঠকে। উপস্থিত ছিলেন দার্জিলিঙের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন, শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক রচনা ভগত-সহ চারটি ব্লকের বিডিওরাও। তাঁরা নিজের বিষয়ে সমীক্ষার তথ্য পেশ করেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “জেলাশাসক-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা উন্নয়নের স্বার্থে যে সমস্ত কাজের সুপারিশ করেছেন তার একশো শতাংশ পূরণ করার চেষ্টা করা হবে। আগামী একমাসে ওই কাজ যতটা সম্ভব এগিয়ে নেওয়া হবে। কতটা কাজ হয়েছে তা জানতে মে মাসে আমরা ফের বৈঠক করব।”
তবে এ দিন শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের তরফে কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না। সভাধিপতিকেও ডাকা হয়নি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী জানান, আগেও মহকুমা পরিষদের প্রতিনিধি, এমনকী সভাধিপতিকে বৈঠকে বসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি আদ্রহ দেখাননি। তাই এ বার ডাকা হয়নি। মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি পাস্কেল মিঞ্জ অবশ্য বলেন, “আজকের বৈঠকে আমাদের কাউকে ডাকা হয়নি।” |