গভীর রাতে সাটার ভেঙে পরপর তিন দোকানে চুরি হল জলপাইগুড়িতে। সোমবার কদমতলা, মার্চেন্ট রোড এবং বেগুনটারিতে ঘটনাগুলি ঘটেছে। সব দোকান জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানা থেকে ২০০-৪০০ মিটারের মধ্যে। তাই এই ঘটনার পরে শহরের নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনটি দোকান মিলিয়ে অন্তত আড়াই লক্ষ টাকার জিনিসপত্র চুরি হয়েছে।
শহরের প্রাণকেন্দ্র কদমতলা লাগোয়া কামারপাড়ার একটি পোশাকের দোকান থেকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা-সহ পোশাক, মার্চেন্ট রোডের প্রসাধনী সামগ্রী থেকে ১৫ হাজার টাকা, নানা জিনিসপত্র এবং বেগুনটারি এলাকার আসবাবপত্রের দোকান থেকে একটি ল্যাপটপ-সহ নগদ ১১ হাজার টাকা একই কায়দায় চুরি করা হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, প্রসাধন সামগ্রী এবং পোশাকের দোকানের সিসিটিভি থাকলেও রাতের বেলায় সেগুলি বন্ধ থাকায় কোনও ছবি পাওয়া যায়নি। তিনটি দোকানের সাটারের নিচের অংশ লোহার কোনও সাঁড়াশি জাতীয় কিছু দিয়ে সামান্য কেটে দিয়ে, সেই কাটা অংশ ফাঁকা করে ভিতরে ঢুকে চুরি হয়েছে। এলাকাগুলিতে কোনও নৈশপ্রহরী নেই। তিনটি জায়গায় ঘটনা ঘটলেও কেন পুলিশের টহলদারি ভ্যানের নজর এড়িয়ে গেল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন ব্যবসায়ীরা। সোমবার রাতে বৃষ্টি হওয়ায় পুলিশি টহল যথাযথ হয়নি বলেই তাঁদের অভিযোগ।
পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে। টহলদারি ব্যবস্থা দেখা হচ্ছে।” সাম্প্রতিককালে শহরের প্রধান তিনটি বাজার এলাকায় এমন পরপর চুরির ঘটনা ঘটেনি বলেই ব্যবসায়ী সমিতির তরফে দাবি। জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সাধন বসু বলেন, “ব্যবসায়ীরা উদ্বেগে রয়েছেন। রাতে শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রশাসনের খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।”
ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা জানিয়েছেন, প্রধান বাজার এলাকা হওয়ায় সবকটিতেই রাতের বেলায় সশস্ত্র পুলিশ কর্মীরা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন। দিনবাজার, বেগুনটারি, কদমতলা এলাকায় রাতের বেলায় পুলিশকর্মী ছিলেন বলে পুলিশ সূত্রের খবর। বৃষ্টিতে তাঁরা টহলদারি করতে পারেননি বলে পুলিশের একটি অংশ থেকে জানানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, মোবাইল টহলদারি ভ্যানে নজরদারি চালানো হয়েছে। এ দিন ভোরে শান্তিপাড়া এলাকায় একটি কিশোরদের দলকে তাড়াও করা হয়। তবে দলটি পালায়।
পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু। তিনি বলেন, “জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ আধিকারিকদের ঘনঘন পরিবর্তন করাতেই পুলিশি ব্যবস্থার ওপরে প্রভাব পড়ছে। দ্রুত অভিযুক্তদের ধরতে হবে পুলিশকে।” |