কীটনাশক খাইয়ে বধূহত্যার অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
বধূকে মারধর করে মুখে কীটনাশক ঢেলে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামী ও শ্বশুরবাড়িরে লোকের বিরুদ্ধে। মিনাখাঁ থানার মালঞ্চের চকআমপুর গ্রামে মঙ্গলবার সকালে ওই ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, আশঙ্কাজনক অবস্থায় উমারানি মণ্ডল (২৭) নামে ওই মহিলাকে মিনাখাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে দুপুর নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। উমারানি দেবীর মায়ের অভিযোগ ভিত্তিতে পুলিশ জা পুতুলরানি মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে। স্বামী সোমেন-সহ বাকিরা পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।পুলিশ সূত্রের খবর, বছর দশেক আগে হাড়োয়ার পুরাতন কামারগাছি গ্রামের বাসিন্দা উমারানির সঙ্গে বিয়ে হয় সোমেনের। তাঁদের দু’টি সন্তানও রয়েছে। উমারানিদেবীর বাপের বাড়ির অভিযোগ, বিয়েতে পণবাবদ নগদ ও অন্যান্য জিনিসপত্র দেওয়া সত্ত্বেও শ্বশুরবাড়িতে উমারানি দেবীর উপরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চলছিল। এ নিয়ে মীমাংসার জন্য গ্রামে একাধিকবার সালিশি সভা বসলেও উমাদেবীর উপরে অত্যাচার কমেনি। মঙ্গলবার সকালে অত্যাচারের চোটে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁর মুখে কীটনাশক ঢেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও গ্রেফতারের পর পুতুলরানির দাবি, উমারানি খুব অভিমানী ছিলেন। সামান্য ঘটনাতেই উত্তেজিত হয়ে পড়তেন। ঘটনার দিন পারিবারিক একটি বিষয় নিয়ে বচসা বাধলে তিনি ঘরে ঢুকে কীটনাশক খেয়ে ফেলেন। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
|
থানা কেন অভিযোগ নেয়নি, তদন্তে এসডিপিও
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
দোলের দিন বাড়িতে ঢুকে জোর করে মহিলাদের রং মাখানোর প্রতিবাদ করায় মারধরের চোটে রাধাকান্ত মণ্ডলের মৃত্যুতে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ না নেওয়ার ঘটনার তদন্তে নামলেন বসিরহাটের এসডিপিও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তিনি হাড়োয়া থানায় যান এবং গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখে দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য ওসিকে নির্দেশ দেন। রাধাতান্তর মৃত্যুর ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সিপিএম এবং তৃণমূল। এ দিন স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বের তরফে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার এবং অভিযোগ না নেওয়ায় দোষী পুলিশ অফিসারদের শাস্তির দাবিতে হাড়োয়া থানায় স্মারকলিপি দেওয়া হয়। মৃতের মামা এবং সিপিএমের হাড়োয়া উত্তর লোকাল কমিটির সম্পাদক ভুবন মণ্ডল বলেন, “ঘটনার কথা লিখিত ভাবে পুলিশকে জানানো সত্ত্বেও তারা অভিযোগ নথিভুক্ত করেনি। এমনকী আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও এখনও অভিযুক্তদের ধরতে পারেনি।’’ পুলিশের ভূমিকার প্রতিবাদ করে তৃণমূল নেতা সঞ্জু বিশ্বাস বলেন, “অভিযোগ না নিয়ে পুলিশ ঠিক করেনি। দুষ্কৃতীদের যাতে অবিলম্বে গ্রেফতার করা হয় সে জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে।”
|
নাবালিকার বিয়ে, ধৃত ৪
নিজস্ব সংবাদদাতা • বনগাঁ |
নাবালিকা-বিবাহের ঘটনায় বর, তার বাবা এবং মেয়ের বাবা-মাকে বিয়েবাড়ি থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বনগাঁ আদালতের নির্দেশে ধৃতেরা এখন জেল-হেফাজতে। নাবালিকাকে পাঠানো হয়েছে হোমে। সোমবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে পাত্র তাপস মজুমদারের বনগাঁ থানার ট্যাংরা-কলোনি গ্রামে। উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার সুগত সেন বলেন, “নাবালিকার বিয়ে দেওয়াটা আসলে সামাজিক ব্যাধি। এটা শুধু পুলিশের পক্ষে বন্ধ করা সম্ভব নয়।” স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরখানেক আগে বনগাঁর ভুলোট গ্রামের এক নাবালিকার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় বছর বাইশের ঠিকাশ্রমিক তাপসের। নবম শ্রেণির ছাত্রী মেয়েটির বয়স পনেরো। বাড়িতে এই সম্পর্ক মেনে নেননি। সম্প্রতি মেয়েটি বাড়ি থেকে পালায়। এর পরে দুই পরিবার তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করে। মঙ্গলবার বিয়ের অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিতের সংখ্যা ছিল খুব কম। পুরো বিষয়টিই সারা হয় লুকিয়ে। বিয়ের খবর পেয়ে গ্রামে যায় পুলিশ। গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে কেউই এই বিয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে না চাওয়ায় পুলিশ স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে মামলা দায়ের করে। মঙ্গলবার সকালে গ্রেফতার করা হয় নাবালিকার মা, বাবা, পাত্র, ও পাত্রের বাবা কৃষ্ণ মজুমদারকে। পাত্রের পরিবারের দাবি, নাবালিকার বিয়ে দেওয়া যে নিষিদ্ধ, তা জানা ছিল না তাদের। মেয়েটির পরিবারের বক্তব্য, সামাজিক সম্মান রক্ষায়, বিয়ে দিতে রাজি হয় তারা। মঙ্গলবার সকালে বিয়ের সাজেই বনগাঁ আদালতে আনা হয় বর-কনেকে। বনগাঁ আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ধৃতদের ১৪ দিন জেল-হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
|
জলে ডুবে মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • কুলপি |
অটো উল্টে পুকুরে পড়ে মৃত্যু হল এক শিশুর। দুর্ঘটনাটি ঘটে সোমবার সন্ধ্যায় কুলপির জামতলায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম কাঞ্চন মণ্ডল (৭)। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই গ্রামের পুকুরপাড়ে এক ব্যক্তির রাখা অটোয় খেলছিল কাঞ্চন-সহ কয়েক জন শিশু। আচমকা অটোটি উল্টে পুকুরে পড়ে যায়। অন্যদের উদ্ধার করা গেলেও তলিয়ে যায় কাঞ্চন। তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
|