|
|
|
|
কেশপুরে শিলাবৃষ্টি, ক্ষতি ধান-সব্জি চাষে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মাঠের কাজ সেরে সবে বাড়ি ফিরেছেন। হঠাৎ চড়চড় চড়চড় শব্দ। মুহূর্তে বাড়ির সামনের মাঠ সাদা হয়ে গেল। মঙ্গলবার বিকেলে কয়েক মিনিটের প্রবল শিলাবৃষ্টির সাক্ষী রইলেন কেশপুরের বহু মানুষ। সঙ্গে প্রবল ঝড়। কিছু ক্ষয়ক্ষতিও হল। কারও বাড়ির ছাউনি উড়ে গেল, কারও ছাউনি ভেঙে পড়ল। |
|
এল কালবৈশাখী। গরম কাটিয়ে ক্ষণিকের স্বস্তি। এগরাতে কৌশিক মিশ্রের তোলা ছবি। |
ধান, তরমুজ, তিল, লঙ্কা চাষের তো দফারফা অবস্থা। খবর পেয়ে এলাকায় গিয়েছিলেন কেশপুরের বিডিও জামিল আখতার, অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) রজতকুমার সাইনি। বিডিও বলেন, “শিলা বৃষ্টিতে ভালই ক্ষতি হয়েছে।” তবে ক্ষতির পরিমাণ রাত পর্যন্ত জানা যায়নি। বিডিওর কথায়, “রিপোর্ট সংগ্রহ করা হচ্ছে। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ বোঝা কঠিন।” অতিরিক্ত জেলাশাসকের বক্তব্য, “অনেকের বাড়ির ছাদ ফুটো হয়ে গিয়েছে। যাতে ফের বৃষ্টি হলে ছাদ দিয়ে জল না পড়ে সে জন্য ত্রিপল দেওয়া হবে।” |
|
খেত থেকে শিল কুড়োচ্ছেন চাষি। আনন্দপুরে। ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
এ দিন বিকেল ৩ টে নাগাদ শিলা বৃষ্টি শুরু হয় তেঘরি, বড়বরজ, পানবনি, বাঁকাছেটা, হরিণামারি, ক্ষীরাকুল বাজুয়াড়া, সাঁকোয়া, তলনান্না, মুগবসান প্রভৃতি গ্রামে। তারপরই ঝড় ও বৃষ্টি। এখন মাঠে বোরো ধান-সহ রয়েছে নানা সব্জি, বাদাম ও তিল। ক্ষুদিবিসি গ্রামের মনোরঞ্জন মণ্ডল বলেন, “মাঠে আর আস্ত কিছু নেই। সব শেষ হয়ে গেল।” এ দিনের ঝড়-বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁকাছেঁটা গ্রামের গোকুল সিংহ, কার্তিক সিংহরা বলেনন, “টিনের ছাউনি উড়ে ক্ষতি হয়েছে। মাঠের ধান শিলাবৃষ্টিতে গিয়ে নষ্ট হয়েছে।” প্রশাসনের কাছে ইতিমধ্যেই ত্রাণ চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন চাষিরা। ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে সমস্যায় না পড়েন, সে জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। |
|
|
|
|
|