|
|
|
|
পোড়া ট্রাকের সারি পাঁশকুড়ায়, আটক তিন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
দুর্ঘটনায় বধূ মৃত্যুর পরে ট্রাকে আগুন লাগানোর ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন জনকে আটক করল পাঁশকুড়া থানার পুলিশ।
|
অপর্ণা কর |
সোমবার পাঁশকুড়ার উত্তর চাঁচিয়াড়া গ্রামের বধূ অপর্ণা করের (২৮) মৃত্যুর পর উত্তেজিত জনতা ৯টি ট্রাকে আগুন লাগায় ও ১০টি ট্রাকে ভাঙচুর করে। কাছেই পাঁশকুড়া জিআরপি, আরপিএফ অফিস থেকেও লাভ হয়নি। মঙ্গলবার এলাকায় গিয়ে দেখা যায় কার্যত পোড়ো গ্যারাজে পরিণত হয়েছে ঘটনাস্থল।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মালগাড়িতে আসা আকরিক লোহাচুর, স্টোন চিপস পাঁশকুড়া স্টেশন সংলগ্ন চাচিয়াড়া রেক পয়েন্টে নামানোর পর ট্রাকে করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রতি দিন কয়েকশো ট্রাকের বেপরোয়া যাতায়াতের জন্য প্রায়ই দুর্ঘটনা লেগে থাকে। ধুলো, ধোঁয়ায় ক্ষতি হয় পরিবেশেরও। এ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েও কোনও ফল হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা সুশান্ত ভৌমিক, রতন কর, বাসুদেব মিশ্র অভিযোগ করেন, “এই রাস্তা দিয়ে উত্তর ও দক্ষিণ চাঁচিয়াড়া, কেদারপুর, ধুলিয়াপুর, মুড়াইল, বসন্তবাড়, নারায়ণ পাকুড়িয়া মিলিয়ে ১০-১২টি গ্রামের স্কুল পড়ুয়া-সহ কয়েক হাজার বাসিন্দা নিত্য যাতায়াত করেন। বছর দশেক আগে রেক পয়েন্ট চালুর পর থেকে ওই একই রাস্তায় প্রতি দিন কয়েকশো মালবাহী ট্রাক যাতায়াত করছে। অথচ, রাস্তা চওড়া করা হয়নি। রেলকে বারবার জানিয়েও লাভ হয়নি।” |
|
পোড়া ট্রাক। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস। |
এই সব নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ ছিল। এরই মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত বধূ অপর্ণাদেবী হাওড়ার উলুবেড়িয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্মী ছিলেন। তাঁর স্বামী মিলন কর জানান, প্রতি দিনের মতো সোমবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ পাঁশকুড়া স্টেশনে নামেন অপর্ণাদেবী। আলাদা সাইকেলে আসছিলেন দু’জনে। জোর গতিতে আসা একটি ট্রাক অপর্ণাদেবীর সাইকেলে ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। ক্ষিপ্ত জনতা এরপরেই ট্রাকগুলিকে আটকে ভাঙচুর শুরু করে। ট্রাক মালিক গয়ারাম মান্না বলেন, “দুর্ঘটনার পর স্থানীয় গ্রামবাসীরা ছুটে আসায় আমরা রেক পয়েন্ট থেকে পালাই। প্রায় ৪০-৫০ জন এসে একের পর এক গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ভাঙচুর করে।” |
|
|
|
|
|