সুপার ওভারে দিল্লি-বধ
ডে’ভিলিয়ার্স ও রামপলের
গেইল বনাম সহবাগ। মঙ্গলবার চিন্নাস্বামীতে ক্যাচলাইন ছিল এটাই। কিন্তু ম্যাচে ব্যর্থ হলেন দুই মহানায়কই। অভূতপূর্ব ভাবে আবার দু’জনের দ্বৈরথের সুযোগ এসে গেল একই ম্যাচে। যখন দিল্লি বনাম বেঙ্গালুরু লড়াই চলে গেল সুপার ওভারে। কিন্তু সেখানেও হল না গেইল বনাম সহবাগ। গেইল নামলেও দু’রানের বেশি করতে পারলেন না। আর দিল্লির হয়ে সুপার ওভারে ব্যাট করতে নামলেনই না সহবাগ।
বরং উঠে এলেন অন্য দু’জন নায়ক। দু’জনই বেঙ্গালুরুর। এবি ডে’ভিলিয়ার্স। রবি রামপল। সুপার ওভারে উমেশ যাদবের পঞ্চম এবং ষষ্ঠ বল গ্যালারিতে ফেলে দিলেন ডে’ভিলিয়ার্স। আর রামপল নিজের প্রথম এবং শেষ বলে উইকেট তুলে নিয়ে থামিয়ে দিলেন দিল্লিকে। বেঙ্গালুরুর করা ১৫ রানের জবাবে দিল্লি করল ১১। এই নিয়ে দিল্লি হারল টানা পাঁচ ম্যাচ। বেঙ্গালুরু জিতে ছ’ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিল শীর্ষে।
ম্যাচে অবশ্য নায়ক হয়ে উঠেছিলেন আর এক জন। বিরাট কোহলি। তিনিও যে কম বড় দৈত্য নন, তা আরও এক বার বুঝিয়ে দিলেন আরসিবি অধিনায়ক। যে মর্কেল, নেহরা-দের দাপটে এদিন গেইলও কুপোকাত, সেই তাঁদেরই পিটিয়ে ৫০ বলে ৬৫ করে গেলেন কোহলি। ডেয়ারডেভিলদের দেওয়া ১৫৩ রানের টার্গেট বেঙ্গালুরুর কাছে শুরুতে কিছুটা কঠিন হয়ে উঠলেও কোহলি ও এবি ডে’ভিলিয়ার্সরা তাকে বেশ সোজা করে নিয়েছিলেন। কিন্তু কোহলি ১৯ নম্বর ওভারে আউট হওয়ার পর ম্যাচে ফিরে আসে দিল্লি। শেষ ওভারে বেঙ্গালুরুর প্রয়োজন ছিল ১২। ইরফান পাঠানের প্রথম বলেই ছয় মেরে দেন রামপল। কিন্তু শেষ বলে দু’য়ের জায়গায় এক হওয়ায় ম্যাচ সুপার ওভারে চলে যায়।
বিরাট কোহলি। ধারাবাহিকতার আর এক নাম। ছবি: পিটিআই
টানা চার ম্যাচ হারার পর দিল্লিকে জয়ে ফেরাতে পারবেন বীরেন্দ্র সহবাগ? এটাই ছিল মঙ্গলবারের ম্যাচ শুরুর আগে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। সহবাগ যে উত্তরটা ঠিকঠাক দেওয়ার চেষ্টা করেননি, তা নয়। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই রামপলকে মেডেন দেওয়ার পর দ্বিতীয় ওভারেই আরপি সিংহর বল তিন বার বাউন্ডারি পার করিয়ে দিয়ে বুঝিয়ে দেন তিনি, ঠিক কতটা মরিয়া। বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক কোহলি আরপি-কে আর বল না দিয়ে উনাদকটকে দেওয়ার পরও একই ছবি। তাঁকেও তিনটি বাউন্ডারি উপহার বীরুর। তবে অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ডের প্রথম বলই ফ্লিক করে মিড উইকেটে থাকা ক্যাপ্টেনের হাতে তুলে দেন সহবাগ (২৩ বলে ২৫)। মাহেলা জয়বর্ধনে (৩১ বলে ২৮) ক্রিজে এলেন বটে। কিন্তু ঝড় তুলতে পারলেন না। ১৫ ওভারেও ডেয়ারডেভিলরা যখন একশোর গণ্ডি থেকে ছ’রান দুরে, যখন তাদের ১২০-১৩০ পেরনো নিয়েও প্রশ্ন উঠছে, তখন শেষ দু’ওভারে ইরফান পাঠান (৮ বলে ১৯ নটআউট) ও কেদার যাদব (১৬ বলে ২৯ নটআউট) ৩০ রান না তুললে দিল্লি দেড়শো করতে পারত না।
গেইল ঝড় থামানোর আলাদা ছক কষেই যে নেমেছিলেন নেহরা, মর্কেলরা, তা শুরু থেকেই বোঝা যাচ্ছিল। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে একবার মর্কেলকে লং অনের ওপর দিয়ে তুলে দেন গেইল (৯ বলে ১৩)। মর্কেলের পরের ওভারে আবার। পরের বলেই শোধ তুলে নিলেন মর্কেল। গেইলকে ফিরিয়ে। যদিও শেষ হাসি হাসল আরসিবি-ই।





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.