|
|
|
|
রাস্তা সংস্কারে ঢিলেমি, অবস্থা দেখতে আজ বৈঠকে পূর্ত সচিব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
জেলা জুড়েই বেহাল রাস্তা। পরিস্থিতি এমন যে ধর্মঘট পর্যন্ত ডেকেছিলেন বাস ব্যবসায়ীরা। তারপরই রাস্তা সংস্কারে অর্থ বরাদ্দ হয়। কিন্তু কাজের গতি বাড়েনি। তাই সমস্যাও মেটেনি। টাকা থাকলেও রাস্তা সেই ভাঙাচোরাই রয়েছে। কাজে গতি বাড়াতে দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন পূর্ত দফতরের সচিব ইন্দিবর পাণ্ডে। আজ, বুধবার মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে এই বৈঠকে দুই মেদিনীপুরের পূর্ত দফতরের সব আধিকারিক ও জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের ডাকা হয়েছে। |
|
৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে ফাটল। খড়্গপুর ও নারায়ণগড়ের মাঝে তোলা নিজস্ব চিত্র। |
পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রায় সর্বত্রই রাস্তা বেহাল। মেদিনীপুর-কেশপুর, নেড়াদেউল থেকে ঝাঁকরা হয়ে ঘাটাল, লালাগড়-রামগড়, গড়বেতা-রসকুণ্ডু, বেলপাহাড়ি থেকে বাঁশপাহাড়ি, ডেবরা-সবং প্রভৃতি রাস্তা খানাখন্দে ভরা। প্রশাসন সূত্রে খবর, ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে লালগড়-রামগড় রাস্তার ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছিল যে কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। গড়বেতা-রসকুণ্ডু রাস্তার ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছিল ২০১২ সালের ২০ জুলাই। ১০ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের কাজও এক বছর হতে চলল শেষ হয়নি। একই ভাবে গোপীবল্লভপুর তেকে ফেকো, দুধকুণ্ডি থেকে শারদীয়, গড়বেতা থেকে হুমগড়-সহ বেশিরভাগ রাস্তার কাজই চলছে মন্থর গতিতে। ডেবরা-সবং রাস্তার কাজ তো বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। অথচ, এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা দিয়ে মেদিনীপুর থেকে সবং, পিংলা, পটাশপুর, ময়নাগামি বাস চলাচল করে। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের জন্য ১০৪ কোটি সেন্ট্রাল রোড ফান্ড থেকে দিয়েছিল।
রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ। ক্ষোভ বাড়ছে বাস মালিকদেরও। কারণ, খারাপ রাস্তায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। বাস রক্ষণাবেক্ষণের খরচও বাড়ে। টাকা থাকতেও কেন কাজ হবে না? প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা। এ বার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে স্বয়ং পূর্ত সচিব আসছেন মেদিনীপুরে। এতে কাজ হয় কিনা, সেটাই এখন দেখার। |
|
|
|
|
|