টুকরো খবর
নাম-বিভ্রাটে সেই যুবতী ফের হোমেই
পরিচয়-বিভ্রাটের জেরে গড়বেতা থেকে উদ্ধার হওয়া যুবতীকে ফের হোমেই পাঠানো হল। যদিও তাঁর পরিবারের লোকেরা এসেছিলেন। তবু তাঁদের হাতে মেয়েকে তুলে দেওয়া হল না। মহকুমা প্রশাসন জানায়, পুলিশকে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশের কাছ থেকে রিপোর্ট পেলেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। শনিবার রাতে গড়বেতা থানার রসকুণ্ডু থেকে বছর উনিশের এক যুবতীকে উদ্ধার করা হয়। রবিবার সকালে তাঁকে মেদিনীপুরের (সদর) মহকুমাশাসক অমিতাভ দত্তের কাছে পাঠানো হয়। মহকুমাশাসক যুবতীকে একটি হোমে রাখার ব্যবস্থা করেন। শুরুতে ওই যুবতী পুলিশকে জানান, তাঁর নাম অঞ্জলি দাস। বাড়ি হুগলির ভদ্রেশ্বর থানার বিলকুলি নোয়াপাড়ায়। শুক্রবার মা-দিদার সঙ্গে রসকুণ্ডুর মেলায় এসেছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে ঈশ্বরী নাইডু নামে এক মহিলা মহকুমাশাসকের কাছে এসে জানান, মেলা থেকে তাঁর মেয়েই হারিয়ে গিয়েছে। পরে হোম থেকে ওই যুবতীকেও আনা হয়। ওই মহিলা সঙ্গে করে তাঁর মেয়ের যে ভোটার কার্ড এনেছিলেন, দেখা যায় যুবতীটির মুখের সঙ্গে কার্ডের ছবির মিল রয়েছে। তবে তাঁর নাম অঞ্জলি নয়, হেমা নাইডু। বাড়িও ভদ্রেশ্বরে নয়, চুঁচুঁড়ায়। মহিলার দাবি, তাঁর মেয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন। তবে এই দাবির প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় কাগজগপত্র দেখাতে পারেননি তিনি। এরপর পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য গড়বেতা থানার পুলিশকে নির্দেশ দেন মহকুমাশাসক। যুবতীকে ফের হোমে পাঠানো হয়।

হেনস্থার বিরুদ্ধে সরব শিক্ষকেরা
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো মাস পয়লা বেতন তো মিলছেই না উল্টে স্কুল পরিদর্শকের অফিস নানা ভাবে শিক্ষকদের হেনস্থা করছে বলে অভিযোগ করল ডানপন্থী শিক্ষক সংগঠন স্যাগেসাস টিচার্স অ্যান্ড এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন। খড়্গপুরে অতিরিক্ত জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিসে ঘুষ না দিলে কাজ হয় না, শিক্ষকদের নথিও ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ এনেছে সংগঠন। সমস্যা সমাধানের দাবিতে মঙ্গলবার তারা জেলা স্কুল পরিদর্শককে স্মারকলিপি দেয়। জেলা স্কুল পরিদর্শক সঙ্ঘমিত্র মাকুড় বলেন, “অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওঁরা কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেননি। তবে ঘটনা সত্যি প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” সংগঠনের অভিযোগ, বর্তমান সরকারের ২২ মাসের মধ্যে মাত্র ৭ মাস শিক্ষকেরা মাসের গোড়ায় বেতন পেয়েছেন। চলতি মাসে এখনও খড়্গপুর ও ঝাড়গ্রাম মহকুমার শিক্ষকেরা বেতন পাননি। সেই সঙ্গে খড়্গপুরের অতিরিক্ত স্কুল পরিদর্শকের অফিস সম্পর্কে অভিযোগ করা হয়েছে, ওই অফিস থেকে শূন্যপদের নথি পাঠানো হয় না, ঘুষ না দিলে কেউ টাইপও করেন না, শিক্ষকদের ফাইল সরিয়ে দেওয়া হয়, গুরুত্বপূর্ণ নথি ছিঁড়ে ফেলা হয়, প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা দিতেও দেরি করা হয়। এই অনিয়ম দ্রুত বন্ধের দাবি জানানো হয়। স্মারকলিপি কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন মধুসূদন গাঁতাইত, আশিস কর।

আগেই আসরে তৃণমূল
ব্লক তৃণমূলের উদ্যোগে সবং বাজারে মিছিল হল মঙ্গলবার। পথসভাও হয়। নেতৃত্ব দেন সবং ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রভাত মাইতি ও জেলা নেতা অমূল্য মাইতি। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের উপর হামলার প্রতিবাদেই এই মিছিল। আজ, বুধবার থেকে তৃণমূলের অত্যাচারের প্রতিবাদে সবং থানার সামনে ধর্নায় বসবেন কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়া। তার আগেই এ দিন আসরে নামল তৃণমূল। অভিযোগ, সবংয়ে কংগ্রেস কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল। পুলিশও নিষ্ক্রিয়। তৃণমূল নেতা অমূল্য মাইতি অবশ্য বলেন, “কংগ্রেস নাটক করছে।”

রেলকর্মী খুনের অস্ত্র উদ্ধার
অভিযুক্তকে নিয়ে তল্লাশি চালিয়ে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করল পুলিশ। মথুরাকাটি থেকে ওই অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। গত ৩১ মার্চ খড়্গপুরে রেল ওয়ার্কশপের কর্মী আই রামজিকে গুলি করে খুন করা হয়। শুরুতে পুলিশ কৃষ্ণা রাও নামে একজনকে গ্রেফতার করে। পরে এন ঊষা কুমার ও বিশ্বজিৎ দাস নামে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, কৃষ্ণা রাওকে নিয়ে তল্লাশি চালিয়ে খুনে ব্যবহৃত বন্দুক উদ্ধার হয়েছে। ধৃতেরা এখন জেল হেফাজতে রয়েছে।

বাসন্তী পুজোয় মেলা
মণ্ডপের পথে বাসন্তী প্রতিমা
বাসন্তী পুজো উপলক্ষে আয়োজিত ৮ দিনের মেলায় নানা অনুষ্ঠান করল মোহনপুরের কেউটখলিসা ব্রতচারী সঙ্ঘ ও পাঠাগার। মঙ্গলবার মেলার ৬৫তম বর্ষ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন এগরার বিধায়ক সমরেশ দাস। ছিলেন দাঁতনের বিধায়ক অরুণ মহাপাত্র, বিডিও সুলোক প্রামাণিক, থানার আইসি জাফরুল মল্লিক। মেলার বিভিন্ন দিনে রয়েছে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, স্বাস্থ্য পরিষেবা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির, আলোচনা সভা ইত্যাদি।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.