সোমবার শামুকতলার বড় চৌকিরবস গ্রামে দুটি দাঁতাল ও তিনটি মাকনা হাতি হানা দিয়ে প্রায় ছয়বিঘা ভুট্টা খেত তছনছ করেছে। সেই সঙ্গে গাছ থেকে কাঁঠাল ভেঙে খেয়েছে দলটি। গ্রামের তিনটি বাড়ির রান্নাঘর ভেঙে মজুদ রাখা আটা, লবণ খেয়ে থামেনি দলটি। ভাতের হাড়ি বাসনপত্র দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছে। গ্রামবাসীরা মশাল জ্বালিয়ে পটকা ফাটাতে শুরু করেন। ভোরে বুনো হাতিরা জঙ্গলে ফিরে যায়। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত ১২টা নাগাদ হাতির দলটি বক্সা’র ছিপড়া জঙ্গল থেকে বার হয়ে ওই গ্রামে ঢোকে। বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন বলেন, “জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতে ধান, ভুট্টার লোভে হাতির হানা হচ্ছে। কচু, আনারস, সরষে, বাদামের মত ফসল চাষ করার জন্য গ্রামবাসীদের উৎসাহ দেওয়া হবে।” বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের (পূর্ব) বিভাগের উপক্ষেত্র অধিকর্তা ভাস্কর জেভি জানিয়েছেন, বুনো হাতির হানা রুখতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ছয় মাসে বক্সাব্যাঘ্র প্রকল্পের পূর্ব বিভাগের জঙ্গল সংলগ্ন গ্রাম, বনবস্তি ও চা বাগানে দু’শোর বেশি বুনো হাতির হামলার ঘটনা ঘটেছে। সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম ১১ জন। ৩৫টি ঘর ভাঙা ছাড়া ৬৫ বিঘার ফসল নষ্ট করে হাতিরা। |
শুঁড়ে পাকিয়ে আস্ত খেজুর গাছটাই উপড়ে ফেলতে চেয়েছিল দাঁতালটি। কিন্তু খেজুর পাতা সমেত গাছের উপরের অংশ হঠাৎ ভেঙে মাথায় ছিটকে আসায় গুরুতর জখম হল হাতিটি। সোমবার রাতে গঙ্গাজলঘাটি থানার দেউলি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। কাঁটায় ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে হাতিটি জঙ্গলের কোথায় যে গা ঢাকা দিল, মঙ্গলবার দিনভর তল্লাশি চালিয়েও তার হদিশ পেলেন না বনকর্মীরা। দেউলির বাসিন্দারা জানান, শেষ রাতে হাতিটি তাঁদের গ্রামে ঢুকে পড়ে। মাঠের ফসল বাঁচাতে গিয়ে গ্রামবাসীরা দেখেন হাতিটি ওই কাণ্ড বাধিয়েছে। ছুটে আসেন বনকর্মীরাও। কিন্তু তত ক্ষণে হাতিটি দলের অন্যদের ভিড়ে মিশে যাওয়ায় তাঁকে আলাদা করা যায়নি। বাঁকুড়া (উত্তর) বন বিভাগের ডিএফও এস কুনাল ডেইভাল বলেন, “বনকর্মীরা হাতিটির সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালান। কিন্তু ওই জখম হাতিটির খোঁজ় মেলেনি। খুঁজে পেলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। |
মাছ মরে জলে ভেসে ওঠেনি, বরং জলে ভেসে ওঠার পরে মাছ মারা হয়েছে। সল্টলেকের বনবিতানে জলাশয়ে মাছ-কাণ্ড নিয়ে বনমন্ত্রীকে এমন রিপোর্টই পাঠাল বন দফতর। প্রাথমিক তদন্তে বন দফতরের অনুমান, বিষক্রিয়া নয়, জলের পরিমাণ কমার সঙ্গে নিকাশি নালার জল অধিক পরিমাণে জলাশয়ে মিশেছিল। তার থেকেই এই বিপত্তি। মঙ্গলবার সল্টলেকের রেঞ্জ অফিসার তপন দাশগুপ্ত বলেন, “ইতিমধ্যেই আমরা রিপোর্ট পাঠিয়েছি। মাছ মরেনি। মাছ মারা হয়েছে।” তবে, ঘটনার তিন দিন পরেও বনবিতানের ওই জলাশয়ে ময়লা জল মেশা বন্ধ হয়নি। বিধাননগর পুরসভার কর্মীরা অবশ্য কাজ শুরু করেছেন। যদিও ওই নিকাশি নালায় কী ভাবে ছিদ্র হল, তা নিয়ে বন দফতর ও পুরসভার মধ্যে শুরু হয়েছে চাপান-উতোর। পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, ঘটনাস্থলের কাছাকাছি ‘পাইলিং’-এর কাজ হয়েছিল। তার ফলেই ওই ছিদ্র। যদিও তেমন কোনও কাজ হয়নি বলে দাবি বন দফতরের।
পুরনো খবর: এ বার মাছ মরল বনবিতানেও
|
হাইকোর্টের নির্দেশে পুরুলিয়া জেলায় একের পর এক অবৈধ করাতকল সিল করছে বন দফতর। মঙ্গলবার আড়শা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫টি অবৈধ করাতকল সিল করে দেন বনকর্মীরা। শুক্রবার বাঘমুণ্ডিতেও নয়টি করাতকল সিল করে দেওয়া হয়। আড়শার মিশিরডি মোড় থেকে এ দিন একটি ট্রাক্টর-সহ কাঠ আটক করে বন দফতর। বনকর্মীদের দাবি, ট্রাক্টরে বৈধ কাগজপত্র ছিল না। |