জলদাপাড়া বনাঞ্চল লাগোয়া কাদম্বিনী চা বাগান থেকে উদ্ধার হল এক জোড়া হাতির দাঁত। মঙ্গলবার বিকালে সশস্ত্র সীমা বলের (এসএসবি) জওয়ান এবং বন কর্মীরা যৌথ অভিযান চালিয়ে দাঁত-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছেন। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতদের মধ্যে একজন একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া। প্রায় ৪৮০০ গ্রাম ওজনের দুটি দাঁত দেখে দেখে বনকর্মীদের অনুমান, দাঁত দুটি পুরানো। এবং দুটি আলাদা হাতির।
বন দফতর সূত্রের খবর, ২০০৫ সালে চিলাপাতার কোদাল বস্তিতে একটি হাতিকে মেরে ফেলে দুষ্কৃতীরা। পরবর্তীতে দাঁত সহ চোরাশিকারিদের গ্রেফতার করেন বন কর্মীরা। বছর খানেক আগে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় খুঁট্টিমারি জঙ্গলের বুধরাম নামে এক দাঁতালের। সেই সময় তার দাঁত কেটে নেয় দুষ্কৃতীরা। সেই দাঁতও পরে উদ্ধার হয়। তবে উদ্ধার করা দাঁত দুটি কোথা থেকে আনা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা শুরু করেছে পুলিশ, বন দফতর এবং এসএসবি। বাহিনীর ফালাকাটা ১৭ নম্বর ব্যাটেলিয়নের আধিকারিক পরীক্ষিত বেহারা বলেন, “১৫ দিন ধরে জওয়ানেরা ক্রেতা সেজে দরাদরি করেন। দুটি দাঁতের দাম ৪০ লক্ষ টাকা ঠিক হয়। এর পিছনে কারা রয়েছে তা ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বন দফতর ও পুলিশ জানাতে পারবে।” সম্প্রতি একই ভাবে ক্রেতা সেজে কুঞ্জনগর এলাকা থেকে একটি নকল গন্ডারের শিং উদ্ধার করে এসএসবি।
জলদাপাড়ার সহকারী ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সন্তোষ জিয়ার জানান, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার পরেই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত রয়েছে তা জানা যাবে। ধৃত বাবলু মুন্ডা নামে যুবকের বাড়ি ফালাকাটার দক্ষিণ পারঙ্গেরপাড় গ্রামে। মৃণাল ওঁরাও নামে অপর জন আলিপুরদুয়ারের সোনাপুর গ্রামের বাসিন্দা। সে স্থানীয় একটি স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। তারা চিলাপাতা জঙ্গলের মেন্দাবাড়ি গ্রামের এক বাসিন্দার কাছ থেকে দাঁত দুটি পেয়েছিল বলে বন দফতরের কর্তাদের জানিয়েছে। বন দফতরের কর্মীরা ওই ব্যক্তির খোঁজ করেছ। |