|
|
|
|
আরুষি-হত্যা |
মা-বাবাই খুনি, ফের দাবি করল সিবিআই |
সংবাদসংস্থা • গাজিয়াবাদ |
তিন বছর আগেই আদালতকে আরুষি হত্যাকাণ্ডের মামলা বন্ধ করার আর্জি জানিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু আদালত তাতে রাজি হয়নি। আজ আদালতে সিবিআইয়ের উচ্চপদস্থ অফিসার এ জি এল কল জানিয়েছেন, আরুষি-হেমরাজ হত্যাকাণ্ডের পেছনে রয়েছেন আরুষির ডাক্তার মা-বাবাই। তিনি আরও জানান, অন্য কারও পক্ষে আরুষির ফ্ল্যাটে ঢুকে খুন করা সম্ভব নয়। কারণ ওই ফ্ল্যাটে ঢোকা বেরোনোর একটা দরজা। এবং যে দিন ঘটনা ঘটেছিল সে দিন ফ্ল্যাটে কেবল আরুষির বাবা-মা উপস্থিত ছিলেন। মঙ্গলবার গাজিয়াবাদের আদালতে শুনানি চলাকালীন এ জি কল অতিরিক্ত বিচারক এস লালের সামনে জানান, বাইরে থেকে ঢুকে এই খুন করা কখনওই সম্ভব নয়।
২০০৮ সালের ১৫ মে নিজের শোয়ার ঘরেই খুন হয়েছিল ১৪ বছরের আরুষি। তার পর থেকেই বাড়ির পরিচালক হেমরাজকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই সন্দেহের তির ছিল তার দিকেই। কিন্তু তার পরদিনই হেমরাজের দেহ পাওয়া যায় বাড়ির ছাদ থেকে। সে দিন থেকেই আরুষির বাবা মা রাজেশ এবং নুপূর তলওয়ার দাবি করে এসেছিলেন, এই দু’টি হত্যাকাণ্ডে তাঁরা কোনও ভাবেই জড়িত নন। রাজেশ এবং নুপূর পেশায় দন্ত চিকিৎসক। তদন্তে দেখা গিয়েছে, আরুষিকে খুন করার জন্য যে ধরনের ছুরি ব্যবহার করা হয়েছে তা থাকে ডাক্তারদের কাছে। স্থানীয় পুলিশের পর ঘটনার তদন্তের ভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে এ জি এল কল তাঁর রির্পোটে লেখেন “এখনও পর্যন্ত যা যা সূত্র মিলেছে তাতে এটা স্পষ্ট যে খুনটি করেছেন ওই ডাক্তার দম্পতি।” এর পর তাঁদের পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়। অবশেষে ২০১২ সালের ২৫ মে জামিনে ছাড়া পান দু’জনেই। ২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল গুজরাতের ফরেনসিক সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিক জানিয়েছিলেন, তলওয়ার দম্পতিই এই খুনের সঙ্গে জড়িত।
এ জি কল আজ আদালতে জানান, হেমরাজের দেহ ছাদে টেনে নিয়ে ঠান্ডা জায়গায় রাখার চেষ্টা, আরুষিকে খুন করার পর তার ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ রাখা ও খুনের সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা দেখে বোঝা যায় যে দু’টি খুনই করেছেন ওই ডাক্তার দম্পতি। কিন্তু তিনি এও বলেন অপরাধ প্রমাণের জন্য এই প্রমাণ যথেষ্ট নয়।
|
পুরনো খবর: কিশোরীকে খুন পরিচারকের |
|
|
|
|
|