|
|
|
|
ছত্তীসগঢ়ের জঙ্গলে সংঘর্ষে হত ৯ মাওবাদী, উদ্ধার অস্ত্র |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
দক্ষিণ বস্তারের জঙ্গলে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে বড়সড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। আজ ভোরে ছত্তীসগঢ়ের সুকমা জেলার পুয়ারতি জঙ্গলে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মোট ৯ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৫ জন মহিলা। আরও বেশ কয়েক জন জখম হয়েছে বলে নিরাপত্তা বাহিনীর সন্দেহ। তবে, রাত পর্যন্ত আহতদের সন্ধান মেলেনি।
পুলিশের দাবি, নিহতদের মধ্যে সিপিআই (মাওবাদী)-র প্রথম সারির কয়েক জন নেতা ও নেত্রী আছেন। তাঁদের কাছ থেকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
ছত্তীসগঢ় পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল রাম নিবাস আনন্দবাজারকে বলেন, “নিহতদের শনাক্ত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ওই জঙ্গিদের মাথার দাম ছিল ৪০ লক্ষ টাকারও বেশি। দেহগুলি ময়না তদন্তের জন্য হেলিকপ্টারে অন্ধ্রপ্রদেশের ভদ্রাচলমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”
মাওবাদী দমনে গঠিত অন্ধ্রপ্রদেশের বিশেষ বাহিনী গ্রেহাউন্ড, ছত্তীসগঢ় পুলিশ এবং সিআরপিএফের ২১৭ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানেরা এই অভিযানে সামিল হন। সুকমার এই এলাকাটি অন্ধ্রপ্রদেশের খাম্মাম জেলার একেবারে লাগোয়া। আবার মহারাষ্ট্রের গঢ়চিরৌলি জেলা থেকেও সুকমার জুগারগুন্ডা থানা এলাকার এই পুয়ারতি জঙ্গলে তাড়াতাড়ি পৌঁছনো যায়। ফলে এই এলাকায় অন্ধ্রপ্রদেশের মাওবাদী নেতা-কর্মীদের যাতায়াতও খুবই বেশি। গ্রেহাউন্ড এবং ছত্তীসগঢ় পুলিশের গোয়েন্দা বাহিনী সূত্রে কয়েক দিন আগেই খবর আসে, ওই এলাকায় মাওবাদীদের উঁচুতলার নেতাদের আনাগোনা চলছে।
গত কাল গভীর রাতেই তিনটি দিক থেকে নিরাপত্তা বাহিনী ওই এলাকাটি ঘিরে ফেলে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, জঙ্গলের মধ্যে ৯০ থেকে ১০০ জন মাওবাদী আস্তানা গেড়েছে। আজ ভোর ৪টে থেকে শুরু হয় গুলির লড়াই। গত বছর বিজাপুর জেলার বাসাগুড়া ও সারকেগুড়ায় মাওবাদীদের উপর আক্রমণ চালানোর সময় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১৭ জনের মৃত্যু হয়। সে সময়ে অভিযোগ উঠেছিল, গুলিতে মহিলা ও শিশু-সহ বেশ কয়েক জন নিরীহ গ্রামবাসীরও মৃত্যু হয়েছে। ফলে আজকের অভিযানের সময় নিরাপত্তা বাহিনী বাড়তি সতর্কতা নেয়।
রাজ্য পুলিশের অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল (গোয়েন্দা বাহিনী) মুকেশ গুপ্ত আনন্দবাজারকে বলেন, “সংঘর্ষে নিহত মারি রেড্ডি ওরফে সুধাকর মাওবাদীদের করিমনগর-খাম্মাম-ওয়ারাঙ্গল ডিভিশনের কম্যান্ডার। পুষ্পা ওরফে লক্ষ্মী জেলা কমিটির সদস্য, সবিতা ওরফে ভেট্টি নারসাক্কা এলাকা কমিটির সম্পাদক। ছত্তীসগঢ় সিআরপিএফের আই জি (অপারেশনস) জুলফিকার হাসান বলেন, “রাত পর্যন্ত এলাকায় তল্লাশি চলছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, জঙ্গলে আরও হতাহতের সন্ধান মিলতে পারে।” |
|
|
|
|
|