|
|
|
|
মমতার জন্য দরজা খোলা বিজেপিরও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
জোটের ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সরাসরি কোনও আলোচনা হয়নি বলে জানালেন। তবু তার মধ্যেই আগামী লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে কলকাতায় এসে তাঁদের তরফে তৃণমূল নেত্রীর জন্য বার্তা রেখে গেলেন বিজেপি-র আরও এক কেন্দ্রীয় নেতা।
কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারকে নিশানা করতে গিয়েই মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতার পাশে দাঁড়িয়েছেন বিজেপি-র মুখপাত্র শাহনওয়াজ হোসেন। ভাগলপুরের সাংসদ শাহনওয়াজ এ দিন কলকাতা প্রেস ক্লাবে বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি কাজে দিল্লি গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁকে এবং তাঁর সরকারের অর্থমন্ত্রীকে যোজনা কমিশনে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যারা কংগ্রেসকে সমর্থন করছে, তাদের সিবিআই দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে! আর যারা সঙ্গে নেই, তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার কর্তব্যও পালন করা হচ্ছে না।” |
|
কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠকে শাহনওয়াজ হোসেন।-নিজস্ব চিত্র |
দিল্লিতে যোজনা কমিশনের বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার পথে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র নিগৃহীত হওয়ার পরেই মমতাকে ফোন করেছিলেন বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিংহ। রাজধানী ছাড়ার সময় মমতা বলে এসেছিলেন, দিল্লি নিরাপদ নয়। সেই সব সূত্র টেনেই শাহনওয়াজের মন্তব্য, “দিল্লিতে কেউই সুরক্ষিত নয়। মহিলা মুখ্যমন্ত্রী, একটা বড় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যদি সুরক্ষিত না হন, তার দায়িত্ব ইউপিএ সরকারকে নিতে হবে। রাজনাথ সিংহ মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন। যত মত-বিরোধই যার সঙ্গে থাকুক, কোনও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এমন ব্যবহার করা উচিত নয়।” লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে কংগ্রেস এবং বিজেপি, দুই বড় দলই এখন শরিক সন্ধানে নেমেছে। তৃণমূলকেও কি তাঁরা সেই তালিকায় রাখছেন? শাহনওয়াজের বক্তব্য, “প্রাক্-নির্বাচনী সমঝোতায় কিছু দল আসবে। কিছু দল আবার নির্বাচনের পরে আসবে। তবে এ ব্যাপারে মমতার সঙ্গে বিজেপি-র কোনও আলাপ-আলোচনা হয়নি।” কূটনৈতিক জবাবের পাশাপাশিই এনডিএ মন্ত্রিসভায় মমতার একদা সহকর্মী এ দিন দাবি করেছেন, এ বার যা পরিস্থিতি, তাতে লোকসভায় বামেরা দু’সংখ্যাতেও পৌঁছতে পারবে না। তাই তৃতীয় ফ্রন্টের সম্ভাবনা অলীক। সে ক্ষেত্রে কংগ্রেস বা বিজেপি, এই দু’দলের কারও নেতৃত্বাধীন জোট ম্যাজিক সংখ্যায় পৌঁছবে। মমতাকে বার্তার উদ্দেশ্য অতএব পরিষ্কার! |
|
|
|
|
|