|
|
|
|
শিন্দে-মমতা সাক্ষাৎ হতে পারে আজ কলকাতায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এসএফআই সমর্থকদের হাতে নিগৃহীত হওয়ার পরে দিল্লির পুলিশকে দায়ী করে রাজধানী ছেড়েছিলেন অসুস্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই ঘটনার পরে আজ, বুধবার কলকাতায় মমতার সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দের, দিল্লি পুলিশ যাঁর অধীনে।
আজ টাউন হলে পূর্বাঞ্চলীয় আঞ্চলিক পরিষদের যে বৈঠক হতে চলেছে, শিন্দে সেখানে হাজির থাকবেন। তিনি পরিষদের চেয়ারম্যান। মমতা ছাড়াও রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের ওখানে থাকার কথা। অমিতবাবুও সে দিন দিল্লিতে নিগৃহীত হয়েছিলেন। যদিও রাজ্য প্রশাসনের একাংশের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর যা শারীরিক অবস্থা, তাতে শেষ মুহূর্তে ওঁরা বৈঠকে হাজির না-ও থাকতে পারেন। তেমন হলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে কালীঘাটের বাড়িতে যেতে পারেন বলে মহাকরণ-সূত্রের খবর। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত অবশ্য ঠিক রয়েছে, মমতা যে হেতু পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এবং যে হেতু বৈঠকের আয়োজন হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে, মুখ্যমন্ত্রী তাই কিছুক্ষণের জন্য হলেও টাউন হলে যাবেন। |
|
পূর্বাঞ্চলীয় আঞ্চলিক পরিষদ শেষ বসেছিল ২০০৫-এ, রাঁচিতে। সেই সাত বছর আগের তথ্য নিয়েই আজ কলকাতায় বৈঠকে বসবেন চার রাজ্যের মন্ত্রী-আমলারা। নিয়ম অনুযায়ী, পরিষদের সদস্য হিসেবে বিহার-ওড়িশা-ঝাড়খণ্ড-পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীদের সেখানে হাজির থাকার কথা। কিন্তু প্রশাসনের খবর: বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক আসছেন না। পরিবর্তে তাঁরা মন্ত্রীদের পাঠাচ্ছেন। ব্যতিক্রম ঝাড়খণ্ড, রাষ্ট্রপতি শাসনের সুবাদে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল স্বয়ং বৈঠকে হাজির থাকবেন বলে মহাকরণে বার্তা পাঠিয়েছেন।
মহাকরণ সূত্রে জানা গিয়েছে, আজকের বৈঠকে আলোচ্যের মধ্যে মাওবাদী সমস্যাই প্রাধান্য পাবে। “পশ্চিমবঙ্গে মাওবাদী দৌরাত্ম্য কিছুটা কমলেও বিহার-ওড়িশা-ঝাড়খণ্ডে প্রায় রোজই নাশকতা ঘটছে। এক রাজ্যে হামলা চালিয়ে লাগোয়া রাজ্যে গা ঢাকা দিচ্ছে মাওবাদীরা, এই অভিযোগ বহু দিনের। তাই তথ্য আদান-প্রদানের ব্যাপারটা গুরুত্ব পাবে।” বলেন রাজ্য প্রশাসনের এক কর্তা। এ ছাড়া মশানজোড় বাঁধ থেকে জল ছাড়া, বিদ্যুৎ বণ্টনে সমন্বয়, সীমানাবর্তী জঙ্গলের অধিকার নির্ধারণ ও রেললাইনের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে। এবং একাধিক জাতীয় সড়ক যে হেতু এই চার রাজ্যের মধ্য দিয়ে গিয়েছে, তাই ওই সব রাস্তায় দুর্ঘটনা রোধের রূপরেখাও তৈরি হবে বৈঠকে। রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের এক কর্তা বলেন, “জাতীয় সড়কের উপরে এত ‘কাট’ পশ্চিমবঙ্গের মতো কোথাও নেই। কিন্তু পুলিশের সংখ্যা কম থাকায় সর্বত্র নজরদারি সম্ভব হচ্ছে না। পুলিশি টহলদারিও কমে গিয়েছে। ফলে আন্ডারপাস তৈরির দাবি জোরদার হচ্ছে।” সরকারি সূত্রের খবর: জাতীয় সড়কে ৫০-৬০ কিলোমিটার অন্তর ট্রমা সেন্টার গড়ে তোলার প্রস্তাব বৈঠকে পেশ করবে রাজ্য। সেই সঙ্গে আর্জি জানানো হবে, জরুরি ভিত্তিতে উত্তরবঙ্গের জাতীয় সড়কের হাল ফেরানো হোক। |
|
|
|
|
|