নিম্নমানের চাল বিলি, ঘেরাও-বিক্ষোভ
বিলি করা চালের মান ও ওজন নিয়ে প্রশ্ন তুলে রেশন দোকানকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার মানুষ। বিক্ষোভ দেখানো ছাড়াও তাঁরা বিডিও-র কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে দুবরাজপুরের কুখুটিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। প্রাপকদের অভিযোগ, প্রথমত ত্রাণের যে চাল দেওয়া হয়েছে তা অত্যন্ত নিম্নমানের। দ্বিতীয়ত তাঁদের প্রাপ্য ওজনের থেকে অনেক কম চাল দিচ্ছিলেন ওই দোকান মালিক। অভিযোগ পেয়ে বিডিও-র প্রতিনিধিরা এলাকায় গিয়ে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখেন। এ দিকে, ক্ষোভ ক্রমশ বাড়তে থাকায় পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে দুবরাজপুর থানার পুলিশ এবং অভিযুক্ত রেশন দোকানের মালিক মুক্তিপদ রুজ ও তাঁর এক আত্মীয়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় এক বছর আগে দুবরাজপুর ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকার মতো স্থানীয় বালিজুড়ি পঞ্চায়েতেও পৌঁছেছিল ত্রাণের চাল। নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের পাঠানো তালিকা অনুযায়ী চাল বিলি হচ্ছে বা হয়েছে রেশন দোকান থেকে। এ দিন তেমটাই হচ্ছিল বালিজুড়ি পঞ্চায়েতের চণ্ডীপুর সংসদের জন্য নির্ধারিত ওই রেশন দোকান থেকে। প্রত্যেক প্রাপকের ৬ কিলো করে চাল পাওয়ার কথা। প্রাপক স্বপন ঘোষ, পদ্মা ডোম, ক্ষেত্র আচার্য, ফাগু ডোম, সবিতা ডোমদের অভিযোগ, “আমাদের সকলকেই ৬ কিলোর কম চাল দেওয়া হয়েছে এবং সেই চালও খাওয়ার অযোগ্য।” এই নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত।

এই চাল নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন কুখুটিয়ার পদ্মা ডোমেরা।—নিজস্ব চিত্র।
দুবরাজপুরের বিডিও কুণাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাসিন্দারা রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন প্রতিনিধিদের পর্যবেক্ষণও তাই। প্রত্যেককে ৩৫০-৫০০ গ্রাম করে কম চাল দেওয়া হয়েছিল এবং তার মানও খুব খারাপ। আমরা জেলা খাদ্য নিয়ামকের কাছে রিপোর্ট করব।” তিনি জানান, এটাও দেখা হবে, যে চাল এক বছর আগে বালিজুড়ি পঞ্চায়েতে পৌঁছেছিল সেটা এত দেরি করে বিলি করা হবে কেন? এক্ষেত্রে গাফিলতি থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্ত রেশন ডিলার মুক্তিপদ রুজ চালের মান নিয়ে আভিযোগ স্বীকার না করলেও কিছু করে চাল কম দেওয়া হয়েছে সেটা মেনে নিয়েছেন। বালিজুড়ি পঞ্চায়েতের প্রধান, সিপিএমের মালতি ঘোষের দাবি, “চাল আসার পর মাস-ছয়েক আগেই সব নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যকে এ ব্যাপারে প্রাপকদের তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছিল। যাঁরা সময় মতো তালিকা জমা দিয়েছেন তাঁদের সংসদে চাল বিলি হয়ে গিয়েছে। কেউ যদি দেরি করেন তার দায় প্রধান নেবে কেন।”
যদিও প্রধানের দাবি মানতে রাজি নন চণ্ডীপুরের পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলের উজ্জ্বল বাগদি। তিনি বলেন, “৬ মাস নয়, মাত্র কিছু দিন আগেই পঞ্চায়েত থেকে তালিকা তৈরি করে জমা দিতে বলা হয়েছিল। তার জন্য যেটুকু সময় লাগার লেগেছে। ৬ মাস আগে বৈঠক হলে এতদিন গোটা পঞ্চায়েত এলাকায় চাল বিলি হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। সেটা যে হয়নি, খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.