ম্যুর অ্যাভিনিউয়ের দাসানি স্টুডিওয় সম্প্রতি শু্যটিং চলাকালীন আগুন লাগার পরে প্রশ্ন উঠেছে শহরের স্টুডিওগুলির অগ্নি-নিরাপত্তা নিয়ে। অথচ, স্টুডিওগুলির লাইসেন্স নম্বর-সহ অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ঠিকঠাক রয়েছে কি না, তা জানতে মার্চ মাসেই মালিকদের চিঠি পাঠিয়েছিল রাজ্যের তথ্য-সংস্কৃতি দফতর। মতামত জানতে একই চিঠি পাঠানো হয় চিত্র-প্রযোজক সংস্থাগুলির কাছেও। কিন্তু ওই চিঠির কোনও জবাব স্টুডিও-মালিকেরা দেননি বলেই অভিযোগ করছে তথ্য-সংস্কৃতি দফতর। এর পাশাপাশি প্রযোজকদের দিক থেকেও দফতরের কাছে কোনও লিখিত মতামত আসেনি বলে মহাকরণ সূত্রের খবর।
|
দাসানি স্টুডিওর ওই অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানি না হলেও স্টুডিওগুলির অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা সুরক্ষিত করতে রাজ্য সরকার উদ্যোগী হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার তথ্য-সংস্কৃতি দফতরের কর্তারা স্টুডিও-মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে তাঁরা জানিয়েও দেন, ১৫ জুনের পর থেকে দমকল-পুরসভার ছাড়পত্র ছাড়া শুটিং করা যাবে না। তথ্য-সংস্কৃতি দফতরের এক কর্তা জানান, সূর্য সেন স্ট্রিটের বাজারে আগুন লাগার পরে শহরের বাজারগুলির অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়। একই ভাবে রাজ্যের স্টুডিওগুলির অভ্যন্তরীণ পরিকাঠামো কী রকম, সে ব্যাপারেও সরকারি স্তরে প্রশ্ন ওঠে। এর পরেই দফতরের পক্ষ থেকে প্রায় ৬০টি স্টুডিওর মালিককে চিঠি পাঠানো হয়। দফতরের কর্তাদের বক্তব্য, তাঁরা চান আইন মেনে প্রতিটি স্টুডিও চলুক। কারণ, বিনোদন শিল্পের সঙ্গে বহু মানুষের রুজি জড়িয়ে রয়েছে। দফতরের সচিব অত্রি ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, সরকারি ভাবে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা মানা না হলে স্টুডিও বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া অন্য কোনও পথ থাকবে না।
এ ব্যাপারে দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান জানান, অনেক স্টুডিওয় অগ্নিকাণ্ডের পরে দেখা গিয়েছে, কিছু দিন চুপচাপ থাকার পরে ফের লুকিয়ে-চুরিয়ে শুটিং শুরু করা হয়। এখন থেকে আর সে সুযোগ থাকবে না। |