চড়া গরমে জলকষ্ট, ক্ষতি চাষে
বৃষ্টির দেখা নেই। দক্ষিণ দিনাজপুর জুড়ে চলছে দাবদাহ। শুরু হয়েছে জলকষ্ট। মাটি শুকিয়ে যাওয়ায় পাট ও বোরো ধান চাষ নিয়ে বিপাকে জেলার চাষিরা। গ্রীষ্মের সব্জির চাষও লাটে। কড়া রোদে ঝলসে যাচ্ছে খেতের ফসল। দক্ষিণ দিনাজপুরের উপ কৃষি অধিকর্তা লক্ষ্মীকান্ত মান্ডি বলেন, “এই সময়ে ৬০ থেকে ৭০ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ার কথা। কিন্তু গত মাসে বৃষ্টি হয়নি।”
বালুরঘাটে তাপমাত্রা ৩৭-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। জলস্তর ক্রমশ নেমে যাওয়ায় জলকষ্ট বেড়ে চলেছে। নলকূপগুলি অকেজো হতে শুরু করেছে। একটানা বৃষ্টিহীন আবহাওয়া দেখে এখন উদ্বিগ্ন চাষিরাও। কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় এ বছর প্রায় ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। চাষিরা বীজ বোনার কাজও শুরু করে। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় চারা হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি দেখে অনেকে জমি তৈরি করেও হাত গুটিয়ে বসে থাকতে বাধ্য হয়েছেন। বেহাল দশা হয়েছে বোরো ও সব্জি চাষেও। জেলায় ৩৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। সব্জি চাষ হয়েছে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে। কিন্তু জলের অভাবে বোরো ধানের চারার বৃদ্ধি কমে গিয়েছে।
বাসিন্দারা জানান, জলস্তর নামায় তপন, গঙ্গারামপুর, হরিরামপুর, বংশীহারী ও বালুরঘাটে নলকূপগুলি অকেজো হয়েছে। কৃষি আধিকারিকরা জানান, জেলা জুড়ে সেচের জলের সমস্যা বেড়েছে। ভূগর্ভস্থ জলের ভাণ্ডার ঠিক রাখতে বৃষ্টির প্রয়োজন। কিন্তু আবহাওয়া দেখে মনে হচ্ছে না কয়েক দিনের মধ্যে বৃষ্টি হবে। পাম্প মেশিন বসিয়ে ফসল রক্ষার কাজে নেমে নাকাল দশা হয়েছে চাষিদের। তপন ব্লকে মালঞ্চা, চন্ডীপুর, হরসুরা, আউটিনা পঞ্চায়েত এলাকার চাষিরা জানান, খালবিল সবই শুকিয়ে কাঠ হয়েছে। সেচের ব্যবস্থা করতে পারছে না ছোঠ চাষিদের কেউ। তাঁদের সবজি খেত ঝলসে শুকিয়ে যেতে বসেছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.