চিকিৎসককে মারধরে জড়াল তৃণমূলের মহিলা কাউন্সিলরের নাম। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে আরামবাগে। পরিণীতা ঘোষ নামে পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওই মহিলা কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মারধর, খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন চিকিৎসক মনোজিৎ মুখোপাধ্যায়।
অন্য দিকে, চিকিৎসকের অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল কাউন্সিলরের পাল্টা দাবি, ওই চিকিৎসকই তাঁকে কটূক্তি করেছেন। মানহানি করেছেন। কাউন্সিলরের আরও অভিযোগ, চিকিৎসকের আগেই তিনি থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও পুলিশ তা নেয়নি। উল্টে অপমান করে তাড়িয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। শনিবার ডাকযোগে থানায় অভিযোগ পাঠান তিনি। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, কাউন্সিলরের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অপমান করার অভিযোগ মিথ্যা। থানায় অভিযোগ না জানিয়ে ফিরে যান তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত ১২টা নাগাদ পরিণীতাদেবী মনোজিৎবাবুর লিঙ্ক রোড-সংলগ্ন চেম্বারে আসেন। সেখানে তখনও শ’খানেক রোগী অপেক্ষা করছেন। চিকিৎসকের কর্মীদের নিজের পরিচয় দিয়ে পরিণীতাদেবী চিকিৎসককে খবর পাঠাতে বলেন। মনোজিৎবাবুর বক্তব্য, “আমার লোকেদের বলেছিলাম, নিয়ম ভেঙ্গে ওঁকে (কাউন্সিলর) আগে দেখে দেওয়া সম্ভব নয়। অসুস্থতা খুব বেশি হলে অবশ্য তাঁকে দেখে দিতেই হবে। তাঁর কষ্টটা কতটা, তা জেনে আসতে বলি। উনি প্রথমে বলেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। পরে বলেন পেটে ব্যথা।” মনোজিৎবাবুর দাবি, “মিথ্যা সুযোগ নিতে চাইছেন বুঝেও দু’তিন জনের পরে ডেকে নেব বলেছিলাম। কিন্তু তিনি নিজেকে কাউন্সিলর বলে জাহির করে সরাসরি আমার চেম্বারে ঢুকে পড়েন। একটি টর্চ নিয়ে আমাকে আঘাত করেন। অন্য রোগীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।” কাউন্সিলর আবার বলেন, “আমি নিজের পরিচয় জানিয়ে আগে দেখাতে চেয়েছিলাম ঠিকই, কিন্তু অভব্যতা করিনি। উল্টে ওই চিকিৎসক কটূ কথা বলেন।”
ঘটনার কথা আরামবাগের মহকুমাশাসক অরিন্দম রায়কেও জানান মনোজিৎবাবু। মহকুমাশাসক বলেন, “তদন্ত চলছে। রবিবার সকালে দু’পক্ষকে নিয়ে শুনানির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।” পুলিশও তদন্ত করছে। ব্যাপারটি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন আরামবাগ তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা।
|