লিফট রয়েছে দু’টি। কিন্তু মাঝে মধ্যেই তা বিকল হয়ে পড়ে। স্ট্রেচারে শুইয়ে বহু কষ্টে সিঁড়ি ভেঙে রোগীদের ওয়ার্ডে নিয়ে যেতে হয়। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে গত সপ্তাহ জুড়ে এমনই দৃশ্য ফিরে ফিরে এল। তীব্র গরমের মধ্যে একসঙ্গে দু’টি লিফট বিকল হয়ে পড়ায় সপ্তাহভর ভোগান্তি চলে। অবশেষে একটি লিফট ঠিক হলেও আর একটি চালু হয়নি। সমস্যার কথা জানেনই না মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ শুদ্ধদন বটব্যাল। তিনি বলেন, “লিফট বিকল হওয়ার খবর তো পাইনি। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও কেন এমন ঘটনা ঘটল, খোঁজ দিয়ে দেখব।”
|
মেদিনীপুর মেডিক্যালের নতুন ভবনটি চারতলা। সিঁড়ি ভেঙে অধিকাংশ রোগীই ওঠা-নামা করতে পারেন না। অনেকের ক্ষেত্রে সিঁড়ি ভাঙা নিষিদ্ধ। তাই রোগীদের জন্য আলাদা লিফটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে ভিড়ের চাপে সমস্যা না হয়, সে জন্য দু’টি লিফট রয়েছে। একটি বড়, অন্যটি ছোট। গত সপ্তাহে দু’টি লিফটই এক সঙ্গে খারাপ হয়ে যায়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ছোট লিফট ব্যবহারই হয় না। বেশিরভাগ সময়েই খারাপ হয়ে পড়ে থাকে। সেই সঙ্গে বড় লিফট খারাপ হয়ে গেলে সঙ্কট বাড়ে।
প্রতিদিনই অনেক নতুন রোগী আসেন। তাছাড়া রোগীদের নানা পরীক্ষার জন্য অন্যত্র নিয়ে যেতে হয়। লিফট বিকল হলে স্ট্রেচার জোগাড় করে রোগীদের সিঁড়ি ভেঙেই নিয়ে যেতে হয়। অনেক সময় স্ট্রেচারও মেলে না। তখন রোগীকে কোলে নিয়ে ওঠা-নামা করতে হয়। অসুস্থ শিবপ্রসাদ ঘোষের ছেলে তারকেশ্বর ঘোষ বলেন, “একটানা লিফট বন্ধ থাকায় সমস্যা হচ্ছে। বাবাকে যখন ভর্তি করেছিলাম তখন লিফট ভাল ছিল। পরে খারাপ হয়ে যায়। |
বাবার রক্ত পরীক্ষার জন্য স্ট্রেচারে নীচে নামাতে হয়েছিল। এ জন্য অন্য রোগীর আত্মীয়দের সাহায্য নিতে হয়।” নবীন দণ্ডপাট বলেন, “অসুস্থ দাদাকে ভর্তি করেছি। লিফট বিকল থাকায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে।”
রবিবার অবশ্য বড় লিফট চালু করা সম্ভব হয়েছে। এখনও বিকল রয়েছে ছোট লিফট। কেন ছোট লিফট চালু করা যায়নি? অধ্যক্ষ বলেন, “ছোট লিফট খারাপ বলে অভিযোগ পাইনি। তবে সব সময় ২টি লিফট এক সঙ্গে চালু করা হয় না। এতে কিছু সমস্যা হয়।” যদি সমস্যার কারণেই ছোট লিফট চালু না করা হয়ে থাকে, তাহলে বড় লিফট খারাপ হওয়ার সময় ছোট লিফট চালু করে কেন পরিস্থিতি মোকাবিলা করা হয়নি? এর সদুত্তর মেলেনি কর্তৃপক্ষের কাছে। |