পঞ্চায়েত ভোটে ‘বাধা’ দেওয়ার অভিযোগ তুলে ফের নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। রবিবার মহাজাতি সদনে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের রাজনৈতিক সম্মেলনের অবসরে দলের সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আগে তো চটি পরা হোমগার্ড দিয়ে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হত! এ বার তো রাজ্য প্রতি বুথে সশস্ত্র প্রহরা রাখবে বলেছে। তা হলে ভোটে বাধা কোথায়?” তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুব্রত বক্সী বলেন, “কমিশন মামলা করেছে। আমাদের আর্জি, মামলা তুলে নিয়ে তারা রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসুক। আলোচনাতেই পথ বেরোবে।”
কমিশনের সঙ্গে সরকার এবং শাসক দলের দ্বন্দ্বের আবহেই বিরোধীদের দাবি, ফল ভাল হবে না বুঝেই শাসক দল পঞ্চায়েত ভোট পিছিয়ে দেওয়ার পরিস্থিতি ডেকে এনেছে। যদিও তৃণমূলের তরফে ওই তত্ত্ব খারিজ করা হয়েছে বার বারই। কোচবিহারের দিনহাটায় একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে এ দিনই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছেন, “আমরা হইহই করে জিতব! ভোট ঠিকঠাকই হবে।”মহাজাতি সদনে এ দিন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সম্মেলন থেকে দিল্লিতে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে আক্রমণে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিও ওঠে। ওই সেলের চেয়ারম্যান ইদ্রিশ আলি বলেন, “দিল্লি-কাণ্ডে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
অন্য দিকে, রাজ্য জুড়ে তৃণমূল-সিপিএম অশান্তির আবহে ফায়দা তুলতে তৎপর বিজেপি। তৃণমূল-সিপিএমের হানাহানির প্রতিবাদে দলের রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায় প্রমুখের নেতৃত্বে এ দিন রাজ্য দফতর থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করেছে তারা। বিজেপি-র অভিযোগ, সিপিএম এ রাজ্যে প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে দিল্লি গিয়ে মন্ত্রীদের হেনস্থা করেছে। পক্ষান্তরে, তার প্রতিবাদে তৃণমূল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুন্ডামি করছে। এই প্রেক্ষিতে এ দিন মিছিলের মধ্য দিয়ে ‘বাংলা বাঁচাও অভিযান’ শুরু করেছে বিজেপি। ধর্মতলায় মিছিল শেষে তারা চারটি সাদা
পায়রা উড়িয়ে শান্তির বার্তা দেয়। আজ, সোমবার থেকে জেলায় জেলায় ওই অভিযান চলবে। ২৮ এপ্রিল সিঁথির মোড় থেকে হাজরা পর্যন্ত মোটরবাইক মিছিল করে শেষ হবে ওই কর্মসূচি।
|