|
|
|
|
ধরা পড়েনি কেউ, স্মারকলিপি থানায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
কোলাঘাটের ছাইখাদানের তৃণমূল শ্রমিক নেতা শেখ আনসার আলির (৪৯) খুনের তিন দিন পরও কাউকে গ্রেফতার করতে পারল না পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার রাতে কোলাঘাটের মহিষগোট গ্রামের শেখ আনসার খুন হন। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই খুন বলে শোনা গেলেও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। শনিবার বিকেলে তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত কোলাঘাট তাপবিদ্যু কেন্দ্র ন্যাশনালিস্ট ঠিকা মজদুর ইউনিয়ন অবশ্য কোলাঘাট থানায় স্মারকলিপি দিতে গিয়ে দাবি করে, খুনের পিছনে তৃণমূলের লোকেরা জড়িত থাকলে তাঁদেরও গ্রেফতার করতে হবে। ঠিকা মজদুর ইউনিয়নের সম্পাদক শেখ সেলিম আলি বলেন, “আমাদের সন্দেহ রাজনৈতিক আক্রোশ থেকেই আনসারকে কেউ খুন করেছে। আমরা পুলিশকে বলেছি এক সপ্তাহের মধ্যে দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে। যদি তৃণমূলের লোকজনও জড়িত থাকে, গ্রেফতার করতে হবে।” পুলিশ সুপার সুকেশকুমার জৈন অবশ্য বলেন, “রাজনৈতিক কারণ ছাড়া পারিবারিক শত্রুতা থেকেও এই খুন হতে পারে। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
রাজনৈতিক পালাবদলের পর গত প্রায় দু’বছর ধরে তাপবিদ্যু কেন্দ্রের ভিতরে ও বাইরে শ্রমিক সংগঠনের রাশ রয়েছে তৃণমূলের শ্রমিক ইউনিয়নের হাতে। সম্প্রতি তাদেরই দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিতরের কয়েকশো ঠিকা শ্রমিক ও সংলগ্ন সাইলো প্রোজেক্টে কয়েকশো শ্রমিকের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের তৃণমূলের নেতাদের হাতে। এই গোষ্ঠীর কার্যালয় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সামনে মেচেদা এলাকায়। অন্য দিকে ছাই খাদানে যাতায়াত করা কয়েকশো লরির চালক-খালাসি ও মাদ্রাজ সিমেন্ট কারখানায় ঠিকা শ্রমিক ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে কোলাঘাট ব্লকের তৃণমূল নেতাদের হাতে। এই গোষ্ঠীর কার্যালয় ছাইখাদানের কাছে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে। ছাই খাদানের সক্রিয় কর্মী আনসার কয়েকদিন আগে ৪০ জন শ্রমিক নিয়ে অন্য গোষ্ঠীর শ্রমিক ইউনিয়নে যোগ দেন। বৃহস্পতিবার রাতে মেচেদায় শ্রমিক ইউনিয়নের অফিসে বৈঠকে ছিলেন আনসার ও তাঁর সঙ্গীরা। সেই রাতেই শ্বাসরোধ করে মারা হয় তাঁকে। |
|
|
|
|
|