|
|
|
|
তৃণমূলের মিছিলে যানজট |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অমিত মিত্রের নিগ্রহের প্রতিবাদে মেদিনীপুরে মহামিছিল করল তৃণমূল। রবিবার সকালে এই মিছিলের জেরে শহরের কয়েকটি এলাকা কিছুক্ষণের জন্য অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দেন পুলিশকর্মীরা। দলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “দিল্লির ঘটনায় যারা যুক্ত, তাদের গ্রেফতার করতে হবে। সেই দাবিতে এই মিছিল। মুখ্যমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীর উপর হামলা হয়েছে। বাংলার মানুষ যোগ্য জবাব দেবে।” সিপিএম পরিকল্পনা করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর। |
|
মিছিলে অবরুদ্ধ শহর।—নিজস্ব চিত্র। |
রবিবার সকালে বিদ্যাসাগর হল চত্বর থেকে মিছিল শুরু হয়। তৃণমূলের জেলা সভাপতি ছাড়াও নেতৃত্বে ছিলেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, দলের জেলা চেয়ারম্যান মৃগেন মাইতি, দুই জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষ এবং নির্মল ঘোষ। সকাল থেকেই নারায়ণগড়, শালবনি, কেশপুর, ঝাড়গ্রাম, ঘাটাল-সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাস-লরি করে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা শহরে আসতে শুরু করেন। দশটা নাগাদ মিছিল শুরু হয়।
জেলা পরিষদ রোড, কলেজ মোড়, বটতলাচক, কেরানিতলা, এলআইসি মোড় হয়ে মিছিল পৌঁছয় গাঁধী মূর্তির পাদদেশে। সেখানে সভা হয়। গোলমাল এড়াতে সকাল থেকেই রাস্তায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন ছিল। মিছিলের জেরে গোলকুয়াচক, বটতলাচক, কেরানিতলা প্রভৃতি এলাকা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। বাস-লরি দাঁড়িয়ে যায়। পথচলতি মানুষ সমস্যায় পড়েন। মিছিল পৌঁছনোর আগে পুলিশও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে। তবে রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় সমস্যা কিছুটা কম হয়েছে।
এ দিনের সভা থেকে তৃণমূল নেতৃত্ব জানান, ২১ এপ্রিল জেলার ২৯টি ব্লকের ২৯০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সব ক’টি বুথে ধিক্কার মিছিল হবে। ওই মিছিল থেকেও দিল্লির ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হবে। ১৭ এপ্রিল জামবনিতে, ২৭ এপ্রিল শিলদায় জনসভা হবে। চলতি মাসেই নারায়ণগড়, গড়বেতা-সহ কয়েকটি এলাকাতেও সভা করার কথা ভাবছেন নেতৃত্ব। তবে দিনক্ষণ নির্দিষ্ট হয়নি। দলের জেলা সভাপতির কথায়, “প্রতিবাদ কর্মসূচি চলবে।”
|
|
|
|
|
|