দফায় দফায় তাণ্ডব দুষ্কৃতীদের, নিহত ১ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • চুঁচুড়া |
জমজমাট বাজারের মধ্যেই আচমকা মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা-গুলির শব্দ। সচকিত মানুষজন তখন আতঙ্কে ছোটাছুটি করছেন। আতঙ্কে দোকান বন্ধ করার সময় বোমার আঘাতে জখম হলেন এক যুবক। সকলের চোখের সামনেই বুকে-মাথায় গুলি খেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়লেন অন্য এক জন। তাঁকেই তাড়া করে মারে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ আসে দুষ্কৃতীরা চলে যাওয়ার পরে।
রবিবার সকালে ঘটনাস্থল হুগলির সদর শহর চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগর বাজার এলাকা।
এই ঘটনায় স্তম্ভিত স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় সমাজবিরোধীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বলে তাঁদের অভিযোগ। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) তথাগত বসু বলেন, “দু’দল দুষ্কৃতীর লড়াইয়ে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এক জন বোমার আঘাতে জখম হয়েছেন। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।” পুলিশ জানায়, নিহতের নাম কমল পাল (৩২)। বাড়ি স্থানীয় কালীতলায়। তিনি মিস্ত্রির কাজ করতেন। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, কেন তাঁকে খুন করা হল, দেখা হচ্ছে। |
হিংসার বলি। ছবি: তাপস ঘোষ। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ রবীন্দ্রনগর বাজারে এসে এক দল দুষ্কৃতী আচমকাই এলোপাথারি গুলি-বোমা ছুড়তে থাকে। হুলুস্থুল পড়ে যায়। প্রাণভয়ে যে যেদিকে পারেন, ছুটতে থাকেন। দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। একটি সেলুনের কর্মী অভিজিৎ বিশ্বাস ওরফে টোটন দোকান বন্ধ করার সময়ে বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হন। তাঁকে পরে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দুষ্কৃতীরা যাওয়ার কিছু ক্ষণ পরেই আরও এক দল সমাজবিরোধী উপস্থিত হয় বাজারে। কমলবাবু তখন বাড়ির সামনে গেটে রঙ করছিলেন। দুষ্কৃতীরা তাঁকে তাড়া করে। কিছুটা যেতেই তাঁর মাথায় এবং বুকে দু’টি গুলি করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
পরে জেলার পুলিশ সুপার তন্ময় রায়চৌধুরী-সহ জেলা পুলিশের পদস্থ কর্তারা আসেন। চুঁচুড়া ছাড়াও চন্দননগর, পোলবা এবং মগরা থানার ওসিদের ঘটনাস্থলে আনা হয়। কমলবাবুর দেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। তদন্তে নেমে কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে। |