বিশ্বভারতীর ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টায় অভিযুক্ত তৃণমূলের ছাত্র নেতা রাজীব ঝা-কে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। বিশ্বভারতীরই চতুর্থ শ্রেণির কর্মী তথা রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের অন্যতম রাজ্য সম্পাদক রাজীব ঝা-এর বিরুদ্ধে গত শুক্রবারই বোলপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন বিশ্বভারতীর বিএড পাঠরতা এক ছাত্রী। অভিযুক্ত এখনও পর্যন্ত ধরা না পড়ায় অবশ্য পুলিশেরই গাফিলতি দেখছেন বিশ্বভারতীর বিভিন্ন মহল। যদিও বীরভূমের পুলিশ সুপার মুরলীধর শর্মা বলেন, “অভিযোগ সঠিক নয়। রাজীব ঝা নামে বিশ্বভারতীর শান্তিশ্রী ছাত্রাবাসের ওই কর্মী বর্তমানে পলাতক। পুলিশ তাকে খুঁজছে। অভিযুক্তকে শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন।” |
অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে মৌনী মিছিল। —নিজস্ব চিত্র। |
এ দিকে প্রতিষ্ঠানেরই কর্মীর হাতে এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ ওঠার পর থেকেই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা। রবিবার সন্ধ্যায় বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের একাংশ একটি মৌনী মিছিল বের করে। শান্তিনিকেতন পোস্ট অফিস মোড় থেকে শুরু হওয়া ওই মিছিল আশ্রম চত্বরে ঘোরে। ঘটনার নিন্দা করে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে দেখা যায় ছাত্রছাত্রীদের। ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ওঠে মিছিলে। এ দিনও বিশ্বভারতীর ‘মিডিয়া ইন্টারফেস কমিটি’র চেয়ারপার্সন অধ্যাপিকা সবুজকলি সেন বলেন, “ওই ঘটনা সম্পর্কে বিশ্বভারতীর কাছে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
গত শুক্রবার বিশ্বভারতীর বিনয় ভবনের ওই ছাত্রী বোলপুর থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন। ওই হস্টেল কর্মী বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁকে কুরুচিকর মন্তব্য করে আসছিলেন বলে অভিযোগ। অভিযোগকারিণী পুলিশের কাছে তাঁর লিখিত অভিযোগে আরও জানিয়েছিলেন, গত মঙ্গলবার বিনয় ভবনে ঢুকে অভিযুক্ত ওই কর্মী তাঁকে কুপ্রস্তাব দিয়ে হাত ধরে টানাটানি করেন। রাজীববাবু অবশ্য দাবি করেছিলেন তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে ওই কর্মীর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নেওয়ার দাবি তুলেছিল ছাত্র পরিষদ ও এসএফআই। |