পাঁচ মাস পরে ফের রাজ্য মন্ত্রিসভায় যোগ দিচ্ছেন সিঙ্গুরের বর্ষীয়ান তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। চলতি মাসের ১৯ তারিখ মন্ত্রিসভার একটি বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকে রবীন্দ্রনাথবাবু উপস্থিত থাকবেন বলে মহাকরণ সূত্রের খবর। এর ফলে গত কয়েক মাস ধরে দলের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথবাবুর যে টানাপোড়েন চলছিল, তা মিটবে বলে মনে করছে তৃণমূলেরই শীর্ষ নেতাদের একাংশ।
শনিবার রবীন্দ্রনাথবাবুও বলেন, “মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দলকেও বিষয়টি জানিয়েছি। ঠিক করেছি এ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে মহাকরণে যাব।” আপাতত তিনি যে পরিকল্পনা ও পরিসংখ্যান দফতরেরই দায়িত্ব নিচ্ছেন, সে কথাও এ দিন স্পষ্ট করেছেন রবীন্দ্রনাথবাবু। তিনি বলেন, “দফতরে যোগ না দিলে দল নতুন সিদ্ধান্ত কী ভাবে নেবে? তাই দলের কথামতো আমাকে যে দফতরে দেওয়া হয়েছিল, তাতেই যোগ দেব।” তৃণমূল সূত্রের খবর, ১৯ এপ্রিল দুপুরে কৃষিমন্ত্রী মলয় ঘটক সিঙ্গুরে রবীন্দ্রনাথবাবুর বাড়ি যাবেন। তার পর তাঁরা একসঙ্গে মহাকরণে আসবেন।
বস্তুত, গত নভেম্বরে দফতর বদলের কারণেই মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথবাবু। কৃষি দফতর থেকে তাঁকে সরিয়ে পরিকল্পনা ও পরিসংখ্যান দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়। রবীন্দ্রনাথবাবু দলকে জানিয়ে দেন, ওই দফতরের দায়িত্ব নিতে রাজি নন। তার পর থেকে তিনি আর মহাকরণে যাননি। ২০ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তিনি পদত্যাগপত্র তুলে দেন। এ নিয়ে রাজ্য-রাজনীতিতে বিস্তর জলঘোলাও হয়।
কিন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে সিঙ্গুরের ‘মাস্টারমশাই’কে আবার মন্ত্রিত্বে ফিরিয়ে নিতে উদ্যোগী হন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সম্প্রতি দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি সিঙ্গুরে গিয়ে রবীন্দ্রনাথবাবুকে মন্ত্রিসভায় ফেরার অনুরোধ জানান। তার আগে থেকেই অবশ্য রবীন্দ্রনাথবাবু মন্ত্রিত্বে ফেরা নিয়ে সুর নরম করছিলেন।
তৃণমূল সূত্রের খবর, আপাতত রবীন্দ্রনাথবাবুকে পরিকল্পনা ও পরিসংখ্যান দফতরের দায়িত্ব নিতে বলা হলেও পরে তাঁকে অতিরিক্ত পরিবেশ দফতরের দায়িত্বও দেওয়া হতে পারে। তা ছাড়া, আইন এবং স্বাস্থ্য দফতরেও রদবদল হতে পারে। তবে কী কারণে কৃষি দফতর থেকে তাঁকে সরানো হয়েছিল তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি প্রবীণ বিধায়ক। তাঁর কথায়, “আমি শপথ নিয়ে মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছি। এ বিষয়ে কিছু বলব না।” |