তিন দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ি গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে টানা দু’সপ্তাহ সম্পূর্ণ বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। হাসপাতালেই তাঁকে অন্তত এক সপ্তাহ থাকতে বলা হয়েছিল। কিন্তু হাসপাতাল সূত্রে খবর, কিছুতেই রাজি হননি মমতা। চিকিৎসকদের জানিয়েছিলেন, চার দেওয়ালে আটকে থাকতে-থাকতে হাঁফ ধরছে তাঁর। বাড়ি যেতে
চান। অগত্যা শনিবার সন্ধ্যা সওয়া সাতটা নাগাদ তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হলেও চিকিৎসকেরা বারবার সতর্ক করে দিয়েছেন, কোনও ভাবেই যেন আগামী দু’সপ্তাহ বাড়ির বাইরে না
যান মুখ্যমন্ত্রী।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, মমতার শ্বাসকষ্ট কমেছে। রক্তচাপ আগের থেকে খানিকটা বাড়লেও (শনিবার সকালে রক্তচাপ ছিল ১১৬/৭০) দুর্বলতা যথেষ্ট রয়েছে। নাড়ির গতি ও শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা আগের থেকে একটু বেড়েছে। তবে বাঁ হাটুতে জল জমেছে। হাঁটু ফুলে আছে, ব্যথাও রয়েছে। দু’সপ্তাহ টানা ফিজিওথেরাপি করতে হবে। বুকে ও পিঠে এখনও অল্প যন্ত্রণা রয়েছে। কোমরের ব্যথা না কমায় বেল্ট পরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
রাতে একেবারেই ঘুম হচ্ছে না মুখ্যমন্ত্রীর। ওষুধ দিয়ে ভোররাতের দিকে একটু ঘুম পাড়ানো হচ্ছিল তাঁকে। চিকিৎসক সুব্রত মৈত্রের কথায়, “ঘুম ঠিক না হলে শরীর ঠিক হবে না। আমরা ওষুধ দিয়েছি। উনি আরও কিছুদিন হাসপাতালে থাকলে ভাল হত। কিন্তু বাড়ি ফেরার জন্য ছটফট করছেন। বাড়ি গিয়ে একেবারে বিশ্রামে থাকতে হবে অন্তত দু’সপ্তাহ। খাওয়া-দাওয়াও বাড়াতে হবে। না হলে দুর্বলতা যাবে না।”
মুখ্যমন্ত্রী হাসপাতালের খাবার খাচ্ছিলেন না। বাড়ি থেকেই খাবার আসছিল। সেটাও খুব সাদামাটা। মুড়ি, ডাল ইত্যাদি। খাওয়ার দিকে বিশেষ নজর রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, হাসপাতাল ছাড়ার আগে ব্যক্তিগত টাকা থেকে যাবতীয় বিল মিটিয়ে দিয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এ দিনই বিকেলে দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস থেকে ছাড়া পেয়ে কলকাতায় ফিরেছেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। গত মঙ্গলবার দিল্লিতে বিক্ষোভরত এসএফআই সমর্থকদের হাতে নিগৃহীত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
|