‘সাজানো’ তত্ত্বে তবু আটকে তৃণমূল
মুখ্যমন্ত্রী যখন দলমত না দেখে দোষীদের শাস্তির কথা বলছেন, তখন ‘সাজানো ঘটনা’র তত্ত্ব ফিরে এল প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও। এর আগে পার্ক স্ট্রিট ও কাটোয়া ধর্ষণ কাণ্ডকে ‘সাজানো ঘটনা’ বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। এ বার প্রেসিডেন্সি প্রসঙ্গে একই শব্দবন্ধ শোনা গেল দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গলায়। শনিবার দলের মিছিলের শুরুতে তিনি বলেন, “দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি, এটা সাজানো ঘটনা।” পরে অবশ্য তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি জানান, প্রেসিডেন্সি-কাণ্ড ‘সাজানো ঘটনা’ কি না, তা তদন্ত করে দেখুক পুলিশ।
দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর হেনস্থার প্রতিবাদে এ দিন মৌলালি থেকে ময়দানে গাঁধীমূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত মিছিল করে তৃণমূল। মিছিল শুরুর আগে পার্থবাবু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে বাংলার মানুষ যখন ক্ষোভে-বিক্ষোভে ফেটে পড়ছে, তখন কোনও কোনও লোক টিভি চ্যানেলে বসে নানা রকম তত্ত্ব দিচ্ছেন।” তার পরেই প্রেসিডেন্সি-কাণ্ডকে ‘সাজানো ঘটনা’ বলেন তিনি। ‘সাজানো ঘটনা’ বলতে তিনি কী বুঝিয়েছেন, মিছিল শেষে আবার তার ব্যাখ্যা দেন পার্থবাবু। বলেন, “যারা রাজ্য জুড়ে জেলায় জেলায় এখনও ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটাচ্ছে, তারা এর পিছনে আছে কি না, সাজানো ঘটনা কি না, এটা পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করে দেখুক।”
তৃণমূল জমানায় ‘সাজানো’ বা ‘তুচ্ছ ঘটনা’র ভূত বিভিন্ন সময়ে তাড়া করেছে সরকারকে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই পার্ক স্ট্রিট এবং কাটোয়ার ঘটনাকে ‘সাজানো’ বলে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন। এ ছাড়াও রায়গঞ্জে অধ্যক্ষ নিগ্রহকে ‘ছোট ঘটনা’, সম্প্রতি এসএফআই নেতা সুদীপ্ত গুপ্তের মৃত্যুকে ‘তুচ্ছ ঘটনা’ বলেছেন তিনি। এ বার পার্থবাবুও একই কথা বলে আর এক বিতর্ক তৈরি করলেন। রাজ্যের শিল্পমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন। বলেছেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে হয়তো তেমন কোনও তথ্য রয়েছে, তাই তিনি ওই কথা বলেছেন। এ ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই।” তবে তৃণমূল নেতৃত্বকে কটাক্ষ করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “সাজানো ঘটনা বলা তৃণমূলের অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে।”
এ দিন প্রেসিডেন্সির রেজিস্ট্রার প্রবীর দাশগুপ্তেরও কঠোর সমালোচনা করে পার্থবাবু বলেন, “রেজিস্ট্রার বলছেন, পুলিশ কেন সাহায্য করছে না। অথচ পুলিশ সাহায্য করতে গেলে উনি এসে গেটে দাঁড়াচ্ছেন। ছাত্ররা মার খেলে তিনি থানায় যান না, অথচ পাপ্পু সিংহকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে রেজিস্ট্রারের দুঃখ হয়। আমরাও সমস্ত ঘটনার তদন্ত চেয়েছি।”
এ নিয়ে উপাচার্য মালবিকা সরকার মন্তব্য করতে চাননি। তবে রেজিস্ট্রার প্রবীরবাবু বলেছেন, “ছাত্রদের কখন থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আমি জানি না। জানলে যেতাম। এটা আমাদের প্রতিষ্ঠানের ঘটনা। এখানকার এক কর্মীকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গিয়েছে। আমি যাব না!”

পুরনো খবর:
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.