আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ করে ডাকা সিপিএমের মিছিলের অনুমতি দিল না পুলিশ। ঘটনাটি নিয়ে বামেদের তরফে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। তবে কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ি থানার দেওয়ানগঞ্জে একই বিষয় নিয়ে ফরওয়ার্ড ব্লকের মিছিল মিটিং হয়েছে। তাতে সিপিএমের জেলা সম্পাদক, সাংসদ, বিধায়ক সকলেই ছিলেন। শান্তিপূর্ণভাবেই মিছিল, সভা হয়েছে। শিলিগুড়িতে রাজনৈতিক গোলমালের পরে গোলমালের আসঙ্কায় জলপাইগুড়িতে ওই মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে পুলিশ সূত্রের খবর।
জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “জলপাইগুড়ি জেলায় কোনও দলকে মিছিল করতে দেওয়া হবে না। পুলিশ-প্রশাসন যৌথভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুধু সিপিএমই না তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও জেলার তিনটি জায়গায় মিছিলের আবেদন করা হয়েছিল, তাঁদেরও অনুমতি দেওয়া হয়নি।” পুলিশ সুপার জানান, আমরা চাইনা শিলিগুড়িতে যা হয়েছে তার কোথাও পুনরাবৃত্তি হোক।
জলপাইগুড়িতে শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার সময় মিছিল করার অনুমতি চেয়ে সিপিএমের জলপাইগুড়ি জোনাল কমিটির পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। সিপিএমের তরফে জানানো হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার বিকালে পুলিশের পক্ষ থেকে মিছিল করার লিখিত অনুমতি দেওয়া হয়। মিছিলের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কিন্তু শুক্রবার দুপুর দুটো নাগাদ জলপাইগুড়ি থানার আইসি অভিজিৎ দাস জানিয়ে দেন, মিছিলের অনুমতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। মিছিলের অনুমতি দেওয়ার চিঠিটিও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
এদিন মিছিল হবে জেনে দলের কর্মী, সমর্থকেরা শহরের কামারপাড়ায় দফতরে ভিড় করেন। সেখানে এসে তাঁরা জানতে পারেন যে পুলিশের অনুমতি না মেলায় মিছিল হবে না। অফিস চত্বরেই তাঁরা ধিক্কার সমাবেশ করেন। সিপিএমের জলপাইগুড়ি জোনাল সম্পাদক জীতেন দাস বলেন, “পুলিশ ও তৃণমূল কংগ্রেস যোগসাজশ করে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করছে। আগামী ১৬ এপ্রিল কদমতলায় অবস্থান কর্মসূচির জন্য পুলিশের কাছে আবেদন করা হবে। অনুমতি না পেলে পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।”
|