পাইকার না-মেলায় পথে সবজি ফেলে দেয় চাষিরা। ঘটনার পর থেকে বন্ধ ময়নাগুড়ি উপনিয়ন্ত্রিত বাজার। উল্টে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক দখল করে হাট বসানোর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার জেরে যানজটে জেরবার দশা হয়েছে নিত্য যাত্রীদের। শুক্রবারেও সড়কের দু’পাশে দূরপাল্লার ট্রাক ও বাস দাঁড়িয়ে যায়। ওই পরিস্থিতিতেও প্রশাসনের তরফে উপনিয়ন্ত্রিত বাজার খোলার কোনও উদ্যোগ না দেখে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
গত ১ এপ্রিল ধূপগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজারের অধীনে থাকা ময়নাগুড়ি উপনিয়ন্ত্রিত বাজারে ভিন রাজ্যের পাইকারদের দেখা না মেলায় চাষিরা খেতের সবজি রাস্তায় ফেলে দেয়। ঘটনার পর থেকে ওই বাজার বন্ধ। দিল্লি ও বিহারের পাইকাররা এলেও তাঁরা উপনিয়ন্ত্রিত বাজারে না গিয়ে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া ময়নাগুড়ি রোড এলাকার হাট থেকে সবজি কেনা শুরু করে বসে অভিযোগ। চাষিরাও সেখানে ভিড় করতে বাধ্য হচ্ছে। হাটে জায়গা না হওয়ায় রিকশা ভ্যান বোঝাই সবজি নিয়ে রাস্তায় দাঁড়াতে বাধ্য হচ্ছে অনেকে। ফলে রাস্তায় যান চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। বাস চালকদের অভিযোগ, মঙ্গলবার ও শুক্রবার উপনিয়ন্ত্রিত বাজার চত্বরে পাইকারি বাজার বসার কথা। হাট বন্ধ হওয়ায় দু’দিন কয়েকশো চাষি রোড এলাকার হাটে ভিড় করছে। জাতীয় সড়ক সবজি বোঝাই রিকশা ভ্যানের দখলে চলে যাচ্ছে। |
হাটের দিনে যানজট। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে তোলা নিজস্ব চিত্র। |
কেন উপনিয়ন্ত্রিত বাজার বসছে না? পাইকারি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ১ এপ্রিল ঘটনার পরে অনেকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। তাই ভয়ে কেউ সেখানে যেতে রাজি হচ্ছে না। যদিও ওই অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ময়নাগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দুলালী অধিকারী। তিনি বলেন, “সবজির পাইকারি বাজার উপ নিয়ন্ত্রিত বাজার চত্বরে বসবে। সেখানে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো রয়েছে। কেন জাতীয় সড়ক দখল করে হাট বসবে। কোনও কারণে সমস্যা থাকতে পারে। সেটা প্রশাসনের সঙ্গে বসে মিটিয়ে নেওয়া যেতে পারে।” উত্তর মাধবডাঙা এলাকার কেপিপি পঞ্চায়েত সদস্য গণেশ রায় বলেন, “জেলার বিভিন্ন হাটে চাষিরা সবজি ফেলে দিয়েছে। ময়নাগুড়ির মতো কোনও নিয়ন্ত্রিত বাজার তো বন্ধ হয়নি। এখানে কেন প্রশাসনের কর্তারা কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছেন না সেটাই বুঝতে পারছি না।” যদিও ধূপগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজার কমিটির সচিব সুব্রত দে’র দাবি কয়েকদিনের মধ্যে বাজার খুলবে। তিনি বলেন, “পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ওঁরা নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন। আমরা পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি।” |