|
|
|
|
শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার জামিন নাকচ
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
বিনপুরে দুই আদিবাসী মহিলার শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা জলধর পণ্ডা-সহ পাঁচ অভিযুক্তের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। শুক্রবার আদালতে মামলার কেস ডায়েরি পেশ করে সরকার পক্ষ। অভিযুক্তদের এ দিন আদালতে আনা হয়নি। অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী তপন সিংহের অভিযোগ, রাজনৈতিক কারণে তাঁর মক্কেলদের ফাঁসানো হয়েছে। সরকারি কৌঁসুলি কণিষ্ক বসু জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, “কেস ডায়েরিতে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে।” শুনানি শেষে ভারপ্রাপ্ত এসিজেএম সুপর্ণা রায় জলধরবাবু-সহ পাঁচ অভিযুক্তের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন।
গত ৫ এপ্রিল বিনপুর ১ ব্লক যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি জলধরবাবু-সহ পাঁচ অভিযুক্তকে বিনপুর ও লালগড়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ৬ এপ্রিল তাঁদের ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ হয়েছিল। ওই দিন অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী তপন সিংহের আবেদনের ভিত্তিতে শুক্রবার মামলার কেস ডায়েরি তলব করে অভিযুক্তদের জামিনের আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করেছিল আদালত। আগামী ২০ এপ্রিল অভিযুক্তদের ফের আদালতে তোলা হবে।
গত ৩ মার্চ বিনপুর থানার মাগুরা ও আঁকরো গ্রামে ঝাড়খণ্ড পার্টির দুই নেতা-কর্মীর বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে জলধরবাবু ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। দুই ঝাড়খণ্ডী নেতা-কর্মীকে বাড়িতে না পেয়ে তাঁদের পরিবারের মহিলাদের শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। ওই দিনই বিনপুর থানায় দুই মহিলা অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ প্রথমে পদক্ষেপ করেনি। এর পর রাজ্য মানবাধিকার কমিশন, মহিলা কমিশন-সহ প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে অভিযোগ করেন নিগৃহীতারা। এরপরই তড়িঘড়ি যুব তৃণমূল নেতা জলধরবাবুর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুই পুলিশকর্মীকে প্রত্যাহার করে নেয় ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ। গত ৮ মার্চ বিনপুর থানায় জলধরবাবুদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও আদিবাসী নিগ্রহ-প্রতিরোধ আইনে-সহ মামলা রুজু হয়। ঘটনার প্রায় এক মাস পরে পুলিশের পক্ষ থেকে জলধরবাবুর এক প্রাক্তন দেহরক্ষী এবং নিগৃহীত ও প্রত্যক্ষদর্শীদের গোপন জবানবন্দি আদালতে নথিভুক্ত করানো হয়। গত শনিবার জলধরবাবু-সহ ৫ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। বাকি তিন অভিযুক্ত এখনও পলাতক।
|
পুরনো খবর: শ্লীলতাহানি, যুব তৃণমূল নেতা ধৃত এক মাস পরে |
|
|
|
|
|