|
|
|
|
হামলা চলছেই, বৈঠকে বামেরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর ও তমলুক |
দিল্লির ঘটনার পর জেলার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরে বৈঠক করলেন বাম নেতৃত্ব। এ দিনের বৈঠকে ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপক সরকার, সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রাণা, ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সভাপতি সুকুমার ভুঁইয়া প্রমুখ।
দিল্লির ঘটনার প্রতিবাদে গত কয়েকদিন ধরেই মিছিল করছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। মিছিল থেকে সিপিএম অফিসে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে দুই মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায়। শুক্রবার বিকেলে সিপিএমের জেলা অফিসে বাম নেতৃত্বের বৈঠকে জেলার পরিস্থিতির পর্যালোচনা করা হয়। বাম নেতৃত্বের দাবি, এই ক’দিনে শুধু পশ্চিম মেদিনীপুরেই একশোরও বেশি পার্টি অফিস আক্রান্ত হয়েছে। প্রতিবাদে পাল্টা কর্মসূচির পথেও যাচ্ছে বামেরা। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্তের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হবে। হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপের দাবিও জানানো হবে।
এ দিকে, পূর্ব মেদিনীপুরে সিপিএমের দলীয় কার্যালয় ও
নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হামলা চলছে। বুধবার সন্ধ্যায় পাঁশকুড়ার হাউরবাজারে তৃণমূলের মিছিলের সময় সিপিএমের হাউর লোকাল কমিটির অফিসে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। এদিনই এলাকার কুমরপুর গ্রামে হটেশ্বরবাজারে সিপিএমের শাখা অফিসে তৃণমূল সমর্থকরা ভাঙচুর করে দলীয় পতাকা তুলে দেন বলে অভিযোগ। হাউর এলাকার জগন্নাথচক গ্রামে তৃণমূলের সমর্থকরা মিছিল করার সময় সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য মুক্তিনাথ সাউয়ের বাড়িতে, গৌতম মেট্যার দোকানে ও আমদান গ্রামে প্রতাপ মাইতির বাড়িতে হামলা চালান বলে অভিযোগ জানিয়েছে সিপিএম জেলা নেতৃত্ব।
একই ভাবে বুধবার সন্ধ্যায় নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের খোদামবাড়ি-২ পঞ্চায়েত এলাকার পাথুরিয়া গ্রামে তৃণমূল সমর্থকরা মিছিল করার সময় সিপিএমের স্থানীয় শাখা সম্পাদক জগদানন্দ দাসের বাড়িতে ইট-পাটকেল ছোড়ে। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নির্মল জানার অভিযোগ, “তৃণমূল সমর্থকরা প্রতিবাদ মিছিলের অজুহাতে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ও বুধবার বিভিন্ন এলাকায় আমাদের দলীয় অফিসে ভাঙচুর ও লুঠপাট চালিয়েছে।” অবশ্য তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেন সিপিএমের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সিপিএম নেতারা মিথ্যা অভিযোগ করে রাজনৈতিক ভাবে উত্তেজনা ছড়ানোর জন্যই চেষ্টা করছে।” |
|
|
|
|
|