|
|
|
|
সঙ্কটের আশঙ্কা |
কর্মী না দিয়েই পরিবহণ দফতরের শাখা মহকুমায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মানুষের হয়রানি কমাতে এ বার মহকুমা স্তরেও পরিবহণ দফতরের অফিস খুলতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। ঝাড়গ্রাম ও খড়্গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার এই দু’টি মহকুমাতে আপাতত নতুন অফিস হবে। এ জন্য নির্দেশিকাও এসে গিয়েছে। তাতে বলা আছে কোন অফিসে কত জন আধিকারিক থাকবেন। কিন্তু চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর কোনও উল্লেখ নেই। আধিকারিক নিয়োগ নিয়েও নির্দেশিকা আসেনি। শুধু একজন করে সহ-পরিবহণ আধিকারিক নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। তা-ও নতুন নিয়োগ নয়। জেলার অন্য অফিস থেকেই তাঁদের পাঠানো হচ্ছে।
এই কর্মী সঙ্কটের মধ্যে নতুন অফিস কী ভাবে চালানো যাবে, অফিস চালু হলেও সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তবে এই সমস্যা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি জেলা পরিবহণ আধিকারিক প্রিয়াঞ্জন দাস। তিনি শুধু বলেন, “সরকারি নির্দেশ মেনে চলতে মাসের মধ্যেই নতুন দু’টি মহকুমায় দু’টি অফিস চালুর জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”
বর্তমানে জেলায় একটিই পরিবহণ দফতর রয়েছে। সেখান থেকেই নতুন গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন, লাইসেন্স দেওয়া, কোন রুটে কোন সময়ে কোন বাস চলবে তা নির্ধারণ করা, গাড়ির কাগজপত্র দেখা-সহ যাবতীয় কাজ করা হয়। এই অফিসে একজন জেলা পরিবহণ আধিকারিক, একজন সহ-আধিকারিক, মোটর ভেহিক্যালস ইন্সপেক্টর বা এমভিআই (নন টেকনিক্যাল), তিন জন মোটর ভেহিক্যালেস ইন্সপেক্টর (টেকনিক্যাল) থাকার কথা। সহ-আধিকারিকের পদটি শূন্য। এমভিআই রয়েছেন চার জনের বদলে দু’জন। তার মধ্যেই একজনকে ঝাড়গ্রামে সহ-আধিকারিক পদে পাঠানো হচ্ছে। বেলতলা চেকপোস্ট থেকে আর একজনকে সহ-আধিকারিক পদে পাঠানো হচ্ছে খড়্গপুরে।
সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, মহকুমা স্তরের অফিসে একজন সহ-আধিকারিক, দু’জন এমভিআই (নন টেকনিক্যাল), একজন এমভিআই (টেকনিক্যাল) থাকার কথা। এছাড়াও অফিস চালাতে ন্যূনতম পাঁচ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী প্রয়োজন। কারণ, ফি জমা নেওয়া, রেজিস্ট্রেশনের ডেটা এন্ট্রি-সহ নানা কাজ থাকে। পরিবহণ দফতরে বর্তমানে কাজের চাপ খুব বেশি। মোটর বাইক, ছোট-বড় চার চাকার গাড়ি কেনা বাড়ছে। রুটিরুজির তাগিদে অনেকে বাস, লরি চালানো শিখছেন। ঝাড়গ্রামের মহকুমার বেলপাহাড়ির প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষকেও নতুন মোটর বাইক কিনলে তার রেজিস্ট্রশন হোক বা লাইসেন্স করানো সব ক্ষেত্রেই মেদিনীপুরে আসতে হয়। একই ভাবে খড়্গপুর মহকুমার মোহনপুর বা দাঁতন এলাকার মানুষকেও আসতে হয় মেদিনীপুরে। দীর্ঘ পথ উজিয়ে আসার পরিশ্রম তো রয়েছেই, তার উপর সময় নষ্ট হয়। অপচয় হয় অর্থেরও। এই সব সমস্যা সমাধানেই মহকুমা স্তরে পরিবহণ অফিস খোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কিন্তু অফিস করলেই তো হবে না, যদি কর্মীই না থাকে তাহলে কাজ করবে কে? প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্মীর কথা রাজ্য পরিবহণ দফতরকে বলা হয়েছে। নতুন পরিবহণ অফিস মহকুমাশাসকের অফিস চত্বরেই হবে। তাই মহকুমাশাসকের অফিস থেকে যাতে কাজ চালানোর মতো চতুর্থ শ্রেণির কর্মী দেওয়া হয় সেই আবেদনও জানানো হয়েছে। |
|
|
|
|
|