|
|
|
|
৭৫ বছরে নেতাজিকে ফিরে দেখা
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা ও তমলুক |
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আগমনের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে একগুচ্ছ অনুষ্ঠান হল ভগবানপুরের মুগবেড়িয়ায়। এই উপলক্ষে শুক্রবার সকালে এলাকার প্রায় তিনশো মানুষ ভূপতিনগরের গাঁধী মূর্তি থেকে মুগবেড়িয়ার নেতাজি মূর্তি পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তায় শোভাযাত্রায় যোগ দেন। বিকালে মুগবেড়িয়া গঙ্গাধর হাইস্কুল প্রাঙ্গণে নেতাজি বিষয়ক আলোচনাসভায় যোগ দেন ভগবানপুরের বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি, ভগবানপুর ২ বিডিও শৈলশিখর সরকার, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনুরাধা নন্দ গোস্বামী প্রমুখ।
আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষক তথা উদযাপন কমিটির কার্যকরী সভাপতি মন্মথনাথ দাস জানান, ১৯৩৮ সালে নেতাজি সারা ভারত কংগ্রেসের নির্বাচিত সভাপতি (রাষ্ট্রপতি) হন প্রথমবার। তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ আসন্ন। সেই সময় স্বাধীনতা আন্দোলনে মেদিনীপুর জেলায় তিনি একাধিক জনসভা করতে আসেন। |
পড়ুয়াদের শোভযাত্রা। মুগবেড়িয়ায় কৌশিক মিশ্রের তোলা ছবি। |
১৯৩৮ সালের ১১ এপ্রিল তমলুকে, ১২ এপ্রিল সকালে মুগবেড়িয়া হাইস্কুল সংলগ্ন মাঠে, দুপুরে খেজুরির সুভাষপল্লিতে, বিকালে কাঁথিতে ও সন্ধ্যায় বালিঘাইয়ের তালপুকুরে জনসভা করেন। মুগবেড়িয়ায় জনসভার পরে নেতাজি কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন ওই স্কুলে। সেই সময় স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা গঙ্গাধর মেমোরিয়াল ট্রাস্ট কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি বিরজাচরণ নন্দ স্বাধীনতা আন্দোলনের খরচের জন্য তাঁর হাতে আটশো টাকা তুলে দেন। এমনই নানা গৌরবের স্মৃতি নিয়ে দিনটিকে প্রতি বছর স্মরণ ও পালন করে আসছেন এই এলাকার মানুষ।
এ দিকে, এই উপলক্ষে বৃহস্পতিবার তমলুক শহরের রাজ ময়দানে শুরু হয়েছে সাত দিন ব্যাপী নেতাজি মেলা। এ দিন রাজ ময়দান প্রাঙ্গণে নেতাজির একটি পূর্ণাবয়ব মূর্তি ও পরে নেতাজি মেলার উদ্বোধন করেন প্রাক্তন সাংসদ কৃষ্ণা বসু। এই উপলক্ষে একটি স্মরণিকা প্রকাশ হয়। তমলুকের উপ-পুরপ্রধান দীপেন্দ্র নারায়ণ রায় বলেন, “মেদিনীপুরের বিপ্লবীদের প্রতি সমর্থন জানাতে ১৯৩৮ সালে মেদিনীপুরে এসেছিলেন নেতাজি। ওই বছর ১১ এপ্রিল পাঁশকুড়া স্টেশন হয়ে তমলুকে এসে রাজবাড়ির খোসরঙ মাঠে জনসভা করে বিপ্লবীদের উদ্বুদ্ধ করেছিলেন তিনি।” বৃহস্পতিবার বিকেলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পাঁশকুড়া সাহিত্য-সংস্কৃতি মঞ্চ। পাঁশকুড়া স্টেশন বাজার সংলগ্ন এক বেসরকারি অতিথিশালায় এই উপলক্ষে আলোচনাসভা আয়োজিত হয়। উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা শিক্ষাবিদ হরিপদ মণ্ডল, প্রাক্তন অধ্যক্ষ হরিসাধন গোস্বামী, পিংলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রতাপচন্দ্র মাইতি, জাতীয় শিক্ষক নির্মল মাইতি প্রমুখ। শুক্রবার মেলায় আসেন রাজ্যের জলসম্পদ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, নেতাজি গবেষক পূরবী রায় প্রমুখ। |
|
|
|
|
|