|
|
|
|
থানার জীর্ণ আবাসনে ঝুঁকির বাসা পুলিশের
অভিজিৎ চক্রবর্তী • ঘাটাল |
জীর্ণ আবাসনের ছাদে-দেওয়ালে ফাটল। সেই ফাঁকে গজিয়ে উঠেছে গাছ। সামান্য বর্ষাতেই জলে থইথই মেঝে। খসে পড়ছে পলেস্তারা। এমন বাড়িতে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন ঘাটাল থানার পুলিশ কর্মী ও আধিকারিকরা। একই অবস্থা দাসপুর, কেশিয়াড়ি, কোতয়ালি-সহ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অধিকাংশ থানার আবাসনের।
গত কয়েক বছরে জঙ্গলমহলের বেশ কিছু থানা ও আবাসন সংস্কার বা নতুন করে তৈরি হয়েছে। অন্যত্র সেই ভাঙাচোরা দশা। কোনও আবাসনের বয়স ৫০ বছর। কোথাও তারও বেশি। জীর্ণ বাড়ির কোণে সাপের আস্তানা। |
মেদিনীপুরের কোতয়ালি থানার আধিকারিক আবাসন ও
পুলিশ ক্লাবের জীর্ণ ভবনের ছবি তুলেছেন সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
জেলার ২৯টি থানার মধ্যে প্রায় কুড়িটিরই আবাসনের অবস্থা খুবই করুণ। একই অবস্থা মেদিনীপুর শহরের দেশবন্ধুনগরে পুলিশ লাইন বা লাইব্রেরি রোডে পুলিশ ক্লাবেও। জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, পুলিশ লাইনে একাধিক বড় বড় বিল্ডিংয়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “সরকার বাড়ি ভাড়া কেটে নেয়। কিন্তু সংস্কারের বেলায় কারও কোনও উদ্যোগ নেই।”
নিয়মানুযায়ী, থানা চত্বরেই পুলিশ কর্মী-আধিকারিকদের থাকার কথা। ফলে জীর্ণ এই আবাসন ছেড়ে বাইরে কেউ যে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকবেনএমন উপায় নেই। তাই অনেক সময়ই পরিবারকে অন্যত্র রেখে ভগ্ন আবাসনে থাকতে বাধ্য হন পুলিশকর্মীরা। দিনভর এলাকার আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব সামলানোর পর বাড়ি ফিরে নিশ্চিন্তে ঘুমানো আর হয়ে ওঠে না। তাই আবাসন নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে জেলার সব থানারই পুলিশদের। আবাসনগুলির ভগ্নপ্রায় অবস্থা মেনে নিয়ে জেলার পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী বলেন, “ টাকা এলেই কিছু আবাসন সংস্কার করা হচ্ছে। এখনও অনেক কাজ বাকি।” |
|
|
|
|
|