একেই বলে মাছের তেলে মাছ ভাজা। বিএসপি নেতা দীপক ভরদ্বাজের খুনিদের ‘পারিশ্রমিক’ দেওয়া হয়েছিল তাঁরই জমানো টাকায়। দীপকের ছোট ছেলে নীতেশ ও আইনজীবী বলজিৎকে জেরা করে এ কথা জানতে পেরেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও দীপক হত্যার উদ্দেশ্য পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। তবে তাঁর খুনের পিছনে যে পারিবারিক ষড়যন্ত্র রয়েছে তা নিয়ে নিশ্চিত পুলিশ। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, মাঝে মাঝেই নির্মাণ ব্যবসায় লাভের টাকা পরিবারের কাছে জমা রাখতেন দীপক। সে টাকা খরচ করার অধিকার পরিবারের কারও ছিল না। দীপক চাইলে সঙ্গে সঙ্গে টাকা ফেরত দিতে হত। উত্তরাখণ্ডের এক মহিলার সঙ্গে দীপকের সম্পর্ক নিয়ে তাঁর পরিবার উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন। তাঁদের মনে হয়, ওই মহিলাকে বিয়ে করে তাঁদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে পারেন দীপক।
নীতেশ ও বলজিৎ পুলিশকে জানিয়েছেন, দিল্লির দ্বারকা এলাকায় একটি স্কুলে গোপন বৈঠকে হাজির ছিলেন তাঁরা। সেখানে ছিলেন নীতেশের মা রমেশ কুমারী ও স্বঘোষিত ধর্মগুরু প্রতিভানন্দ। প্রতিভানন্দ জানান, তিনি দীপককে খুন করার ব্যবস্থা করতে পারেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, বলজিৎকে দীপকের জমানো অর্থ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা দেন নীতেশ। তা থেকে ১০ লক্ষ টাকা প্রতিভানন্দকে দেন বলজিৎ। দুই ভাড়াটে খুনি পুরুষোত্তম রানা ও সুনীল মানেকে ৪ লক্ষ টাকা দেন প্রতিভানন্দ। ওই দু’জনই দীপককে খুন করে বলে অভিযোগ। রানা ও মানেও আগেই গ্রেফতার হয়েছে। আজ তাদের দিল্লির একটি আদালতে হাজির করেছিল পুলিশ।
|