বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত নানা নথি এবং স্মারক পেতে দিল্লির কাছে আর্জি জানাল ঢাকা।
দিল্লিতে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী মণীশ তিওয়ারির সঙ্গে দু’দিনের বৈঠক শেষে বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু আজ বলেন, “একাত্তরের যুদ্ধের সময় দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, নীলিমা সান্যালদের কণ্ঠ বাংলাদেশের ঘরে ঘরে বাজত। সেই সময়ের রেকর্ডিং যাতে সংরক্ষণাগার থেকে উদ্ধার করে আমাদের দেওয়া হয়, সে জন্য অনুরোধ করেছি ভারতীয় নেতৃত্বকে। তা ছাড়া যুদ্ধের সময় সংসদে ইন্দিরা গাঁধী কী বক্তৃতা করেছিলেন, অথবা রাশিয়ার সঙ্গে তাঁর কী কথা হয়েছিল সে সব নথিও চেয়েছি আমরা।” ইনু জানান, মুক্তিযুদ্ধে যে সব ভারতীয় লড়াই করে প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের সম্পর্কে সবিস্তার জানতে চাওয়া হয়েছে।
হাসানুল হক ইনু |
গত কাল মণীশ তিওয়ারির সঙ্গে বৈঠকে ইনু চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন সম্প্রচারের ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া সরিয়ে নেওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন। তাঁর যুক্তি, এর ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে সাংস্কৃতিক যোগাযোগও এক ধাপে অনেকটাই বেড়ে যাবে। এ ব্যাপারে নয়াদিল্লির কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন ইনু। তিনি বলেন, “ইন্দিরা গাঁধী এবং শেখ মুজিবর রহমান যে চুক্তিগুলি করেছিলেন, পরবর্তী কালে তাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন মনমোহন সিংহ ও শেখ হাসিনা। চলচ্চিত্র, বেতার, টেলিভিশন, সংরক্ষণাগার দু’দেশের মধ্যে এই সব কিছুর মেলবন্ধনের জন্য একটি যৌথ কর্মগোষ্ঠী গঠনের প্রস্তাব দিয়েছি। ভারত এই প্রস্তাব ইতিবাচক ভাবেই গ্রহণ করেছে। আশা করছি জুনের মধ্যেই এ বিষয়ে অগ্রগতি হবে।”
বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং দুরদর্শনকেও একতারে বাঁধতে আগ্রহী ঢাকা ও দিল্লি। এ ব্যাপারে প্রসারভারতীর সিইও জহর সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে ইনুর। স্থির হয়েছে দু’তরফের ডিজি এক মাসের মধ্যেই বৈঠকে বসবেন। ভারতের পক্ষ থেকে রবীন্দ্রনাথের উপর তৈরি হওয়া তথ্যচিত্রের একটি কপি বাংলাদেশকে দেওয়া হবে। দু’টি দেশেই একই সময়ে এই তথ্যচিত্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। বাংলাদেশও রবীন্দ্রনাথের উপর যে ছ’টি তথ্যচিত্র তৈরি করেছে, সেগুলি দেবে দূরদর্শনকে। |