|
|
|
|
ফিরতে চান মূলস্রোতে |
নববর্ষের আগেই মুক্তি চার বন্দির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত মতো বাংলার নতুন বছরের আগেই মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পেলেন চার জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দি। এঁদের কারও ২০ বছর, কারও বা ২৪ বছর জেলের চৌহদ্দিতে জীবন কেটেছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পৌঁছনোর পর বুধবার রাতে এঁদের মুক্তি দেওয়া হয়। সকলেই বাড়ি ফিরেছেন। ডিআইজি (কারা) শোভন দীন বলেন, “আশা করব, এ বার এঁরা সমাজের মূলস্রোতে ফিরবেন। সমাজের জন্য কাজ করবেন।” মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের ওয়েলফেয়ার অফিসার মহুয়া বাগচি মিত্রের কথায়, “ছাড়া পেয়ে চার জনই খুব খুশি।”
আগামী সোমবার পয়লা বৈশাখ। শুরু হবে ১৪২০ বঙ্গাব্দ। নতুন বছরের আগেই বন্দি মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। ক’দিন আগে মহাকরণে বন্দি মুক্তির কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার সব মিলিয়ে ২২ জন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে রাজ্য সরকার। তার মধ্যে মেদিনীপুর সংশোধনাগারে ছিলেন চার জন ছিলেন। গত বছরও বাংলা নববর্ষের আগে মেদিনীপুর সংশোধনাগার থেকে চার জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দি ছাড়া পান।
জেল সূত্রে খবর, এ বার যে ৪ জন ছাড়া পেয়েছেন তাঁদের নাম সুরেশ সেন, মঙ্গল আহির, প্রদীপ পন্ডা ও সুশান্ত দাস। সকলেই খুনের মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। সে জন্যই যাবজ্জীবন সাজা হয়। এঁদের মধ্যে সুরেশের বাড়ি বাঁকুড়ার বড়জোড়ায়। মঙ্গলের নয়াগ্রামের বড়শোলে। প্রদীপের কাঁথির ব্রজলালচকে এবং সুশান্তের কাঁথির কাজরাগেড়িয়ায়। জেল থেকে বেরিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে এঁদেরই একজন বলছিলেন, “প্রায় দু’দশক জেলের মধ্যে কেটে গেল। এতোদিন পর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে খুব ভাল লাগছে। এ বার পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাব। সমাজের মূলস্রোতে ফিরব। অতীতের কথা আর মনে রাখতে চাই না।” |
|
|
|
|
|