হাতির পায়ে মৃত্যু, বাগানে ঘেরাও ৬ বনকর্মী
হাতির হামলায় এক ছাত্রের মৃত্যুর প্রতিবাদে সারারাত চা বাগানে আটকে রাখা হল রেঞ্জ আধিকারিক-সহ ৬ বনকর্মীকে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটে নাগরাকাটা থানার বামনডাঙা চা বাগানে। বন দফতর সূত্রের খবর, রাত ৮টা নাগাদ বাগানের এক শ্রমিক পরিবারের ছেলে, দশম শ্রেণির ছাত্র রুস্তম বারা (১৭) বাগানের কারখানার কাছে হাতির হামলায় মারা যায়। রাত সাড়ে নটা নাগাদ বনকর্মীরা বামন ডাঙা পৌঁছতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসীরা। গাড়ি লক্ষ করে ঢিলও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ।
রাত ঘেরাও করা রাখা হয় ওই বনকর্মীদের এমনকী, মৃতদেহ নিয়ে যেতেও বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা মৃতের পরিবারের একজনকে বন দফতরে চাকরি দেওয়ার দাবি জানাতে থাকেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, বামনডাঙায় ডায়নার জঙ্গল থেকে হাতি, চিতাবাঘ প্রায়ই হানা দেয়। বন দফতরের এলাকায় কোনও অফিস নেই। পাশাপাশি, বিদ্যুৎ না থাকায় রাতে হাতির গতিবিধি বোঝা যায় না।
বামনডাঙা চা বাগানে বনকর্মীদের ঘেরাও, গাড়ি ভাঙচুর। —নিজস্ব চিত্র।
বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে যান জলপাইগুড়ি বন্যপ্রানী ২ বিভাগের এডিএফও শ্যামল চক্রবর্তী এবং নাগরাকাটার বিধায়ক যোসেফ মুন্ডা তাঁরা বাসিন্দাদের বুঝিয়ে শুনিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। বিধায়ক বলেন, “অস্থায়ী বনকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে মৃতের পরিবারকে সর্বপ্রথম বিবেচনায় রাখা হবে। অস্থায়ী কর্মী নিয়োগে বামনডাঙার বেকার যুবকদের গুরুত্ব দেওয়া হবে। নজরদারির সুবিধার জন্য এলাকায় ক্যাম্প করা হবে।” এর পরে বেলা ১২টা নাগাদ ঘেরাওমুক্ত হন বনকর্মীরা। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়।জলপাইগুড়ির ডিএফও সুমিতা ঘটক বলেন, “বামনডাঙায় নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এলাকার বাসিন্দা শুকরা ওঁরাও, অমিত মুন্ডারা জানান, বামনডাঙায় বন কর্মীরা নিয়মিত টহলদারি দেন না। আদিবাসী বিকাশ পরিষদের ডুয়ার্স শাখার সম্পাদক রাজেশ লাকড়া বন দফতরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, “লাগাতার এলাকায় বন্যজন্তুর হানা দেওয়ার ঘটনা ঘটে। বন দফতর ক্যাম্প করা তো দূরের কথা ঠিকমত নজরদারিও করে না।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.