|
|
|
|
বরাক উপত্যকায় বর্ষবরণের আনন্দ-উৎসব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলচর |
ইংরেজি নববর্ষকে স্বাগত জানাতে হই-হুল্লোড় কম হয় না, কিন্তু বাংলার বেলায় বাঙালিদের উদাসীনতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। নববর্ষ এখন হালখাতাতেই সীমিত---কার্যত এই অভিযোগ কাটাতে এ বার বর্ষবরণে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন। সব ক’টি আঞ্চলিক সমিতিকে এর মধ্যেই কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক গৌতমপ্রসাদ দত্ত চিঠি পাঠিয়েছেন। তাঁরা চাইছেন, সর্বত্র পালিত হোক বাংলা পঞ্জিকার প্রথম দিনটি। তাই সব আঞ্চলিক সমিতি নিজেদের এলাকায় সাধ্যমতো কর্মসূচি গ্রহণ করছে।
গৌতমবাবু বলেন, পয়লা বৈশাখের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে আছে আমাদের ঐতিহ্য-সংস্কৃতি, সংহতি-সম্প্রীতির ইতিহাস। বাঙালি জাতিসত্তা গঠন প্রক্রিয়ারও অন্যতম এক চালিকাশক্তি হল বঙ্গাব্দ। এর ইতিহাস হিন্দু-মুসলমানের মানসিক ঐক্য ও মিলনের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি ধরে রেখেছে।
সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে এই গৌরবময় ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিতেই শিলচরের অনুষ্ঠানটি হবে মধ্য শহর সাংস্কৃতিক সংস্থার হলঘরে, সকাল সাড়ে দশটায়। |
|
নতুন বছর উপলক্ষে গণেশ মূর্তি তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা।
অসমের করিমগঞ্জে উত্তমকুমার মুহরীর তোলা ছবি। |
নাচ-গান-আবৃত্তির সঙ্গে হবে নববর্ষের চর্চাও। একই ধরনের কর্মসূচি উধারবন্দেরও। করিমগঞ্জ শহর আঞ্চলিক সমিতি অবশ্য দীর্ঘদিন থেকে বর্ষবরণে নজরকাড়া শোভাযাত্রার আয়োজন করে। শম্ভুসাগর পার্ক থেকে এ বারও বেশ ক’টি ট্যাবলো-সহ শোভাযাত্রা বের হবে। হাইলাকান্দি শহর
আঞ্চলিক সমিতিও নববর্ষে রবীন্দ্রভবনে নাচ-গান ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক কর্মসূচি নিয়েছে।
তবে জেলায় আকর্ষণীয় অনুষ্ঠানটি করে বর্ষবরণ উদযাপন সমিতি। এ বারও এরা টাউন হলে শিশুমেলার আয়োজন করেছে। বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতায় শিশুরা অংশ নেবে। হবে কবি সম্মেলন, সংবর্ধনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা ইত্যাদি। কৃষ্টি সাহিত্য মঞ্চও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হাতে নিয়েছে।
বরাক উপত্যকায় নববর্ষকে স্বাগত জানাতে শিলচর পুরসভা ও জাতীয় ব্যায়াম বিদ্যালয় যৌথ ভাবে পয়লা বৈশাখে প্রভাতফেরির আয়োজন করেছে। এতে ব্যান্ড-সহ অংশ নেবে স্কুলছাত্ররা। শহরের বিশিষ্টজনেরা পা মেলাবেন নতুন বছরের প্রথম সূর্যের আলোয়। জেলা ক্রীড়া সংস্থার স্টেডিয়াম থেকে বের হবে শোভাযাত্রা। শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলি পরিক্রমা করে ফিরে আসবে স্টেডিয়ামে। সেখানেই সকাল আটটায় হবে স্কুলভিত্তিক কুচকাওয়াজ প্রতিযোগিতা, ব্যায়াম, সাংস্কৃতিক কর্মসূচি এবং সবশেষে প্রধান অতিথির ভাষণ।তবে বরাকের বাঙালিরা কলকাতার শিল্পীদের মুখাপেক্ষী নন। বরং, প্রতিটি ক্ষেত্রেই স্থানীয় শিল্পীরাই থাকেন অগ্রাধিকারের তালিকায়। |
|
|
|
|
|