|
|
|
|
নতুন বছরে বর্ষবরণের আনন্দ-উৎসবে
মেতে উঠছেন বহির্বঙ্গের বাঙালিরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত হচ্ছে প্রবাসী বাঙালিরা। উৎসবের বার্তা বয়ে নিয়ে নতুন বাংলা বছর আসছে রাঁচিতে। এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে প্রায় শেষ পর্যন্ত একাধিক উৎসব রয়েছে রাঁচিতে। প্রথমে পয়লা বৈশাখ। তারপরে বাসন্তী পুজো। সবশেষে বাংলা মেলা। এই ‘ত্রিফলা’-র স্বাদ নিতে এখন উৎসুক এখানকার বাঙালিরা। আর সেই উৎসাহের পারদ ক্রমেই চড়ছে কলকাতার বিশিষ্ট শিল্পীদের নামে-দামে। আর হিসেবে বৈশাখ ধরলে তো কথাই নেই, এই অনুষ্ঠান শেষ হতে না হতেই শুরু হয়ে যাবে রবি-প্রণাম, ২৫ বৈশাখ। উৎসবই উৎসব। তার প্রস্তুতি আলাদা। একদিকে গান শোনা। তার সঙ্গে কোনও কোনও জায়গায় রাতের খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন। ফলে বৈশাখ বেশ জমজমাট ভাবেই শুরু হচ্ছে এখানে।
আগামী রবিবার ১৪ এপ্রিল থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে উৎসব। চৈত্র সংক্রান্তির রাতেই রাঁচির হাজারিবাগ রোডের প্লাজা প্রেক্ষাগৃহে বাঙালি যুব মঞ্চের উদ্যোগে প্রবাসী বাঙালিদের জন্য ‘বসন্ত উৎসব’ ছবিটি দেখানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কলকাতায় ছবিটি সদ্য মুক্তি পেয়েছে। ছবির কয়েক জন শিল্পীও ওই দিন প্রেক্ষাগৃহে উপস্থিত থাকবেন বলে সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি অজয় ঘোষ বলেন, “এটা একটা মিলন উৎসব। তাই আমাদের দর্শকদের জন্য সেদিন রাতে খাওয়া-দাওয়ারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”
পয়লা বৈশাখ ইউনিয়ন ক্লাবের উদ্যোগে প্লাজাতেই আয়োজন করা হচ্ছে বিশেষ নববর্ষ উৎসব। সেখানে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী অলোক রায়চৌধুরী। এখানেও অনুষ্ঠান শেষে ‘ডিনার’-এর ব্যবস্থা হচ্ছে বলে ক্লাবের পক্ষ থেকে জানিয়েছেন সুবীর লাহিড়ি। দোসরা বৈশাখ অর্থাৎ ১৬ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে বাসন্তী পুজো। রাঁচিতে যা আসলে দুর্গা পুজোর চেহারাই নেয়। চারদিনের ওই পুজো রাঁচির অনেক জায়গাতেই আশ্বিনের অকাল বোধনের মতোই ঘটা করে হয়। তবে গত কয়েক বছর ধরে এ সময় যে পুজোটির দিকে রাঁচির বাঙালিদের বেশিরভাগই তাকিয়ে থাকেন সেটি হল, ২ নম্বর সেক্টরের এইচইসি কলোনির বাসন্তী পুজো। কারণ এখানে পুজোর অন্যতম আকর্ষণই হল সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। পুজোর সংযোজক সুকৃত ভট্টাচার্যের কথায়, এ বার অনুষ্ঠান করতে আসছেন বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ইন্দ্রানী সেন। আবার তরুণ প্রজন্মের আকর্ষণ হিসেবে রাখা হচ্ছে কলকাতার বাংলা ব্যাণ্ড, মহুলের অনুষ্ঠান। এ ছাড়াও পুজোর প্রথম ও শেষ দিন অনুষ্ঠান পরিবেশন করবে ইউনিয়ন ক্লাব, অঙ্গার, বিহান, মজলিস-সহ প্রবাসী বাঙালিদের বিভিন্ন ক্লাবের শিল্পীরা। এপ্রিলের ২৬ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে বাংলা মেলা। মূলত রাঁচিতে বাঙালিদের ঐক্য জিইয়ে রাখতেই ১৪ বছর আগে চালু হওয়া এই মেলা এখন কার্যত রাঁচির অন্যতম পার্বণ। শুধু রাঁচিই নয় ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জায়গা থেকেই এই মেলায় আসেন বাঙালিরা। তিন দিন ধরে চলবে এই মেলা। |
|
|
|
|
|