পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। এখনও অবশ্য তাঁকে এইমস থেকে ছাড়া হয়নি। চিকিৎসকরা তাঁকে আজকের দিনটিও বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। এইমস সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে অমিতবাবুর স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত কাল অমিতবাবুকে দেখে গিয়েছেন তৃণমূল নেতা মুকুল রায় এবং দীনেশ ত্রিবেদী। মুকুলবাবু জানিয়েছিলেন, পিঠ এবং বুকের চোটই ভোগাচ্ছে এই প্রবীণ মন্ত্রীকে। তবে বৃহস্পতিবার সেই তুলনায় আগের থেকে অনেকটাই ভাল আছেন তিনি। আজ তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা মানস ভুঁইয়া। মানসবাবু পরে বলেন, “ওনার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। মন্ত্রিসভায় আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। অত্যন্ত সজ্জন, পণ্ডিত ব্যক্তি।” মঙ্গলবার যোজনা কমিশনের সামনে অমিতাবাবুর উপরে যে হামলা হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা করে মানস বলেন, “এসএফআই যা করেছে, তা রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিরোধী। তবে তার পাশাপাশি প্রেসিডেন্সির কলেজে হামলার ঘটনাকেও একই ভাবে নিন্দা করেন তিনি। কলকাতায় ফিরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতেও হাসপাতালে যাবেন বলে জানান মানসবাবু।
|
শতাধিক মানুষের হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত বড়ো জঙ্গি নেতাকে জামিন দিল আদালত। শান্তি আলোচনার স্বার্থেই জামিন চেয়েছিলেন এনডিএফবি (আর)-এর প্রধান, রঞ্জন দৈমারি। একই সঙ্গে আবেদন করেন, জামিনের বিনিময়ে প্রদেয় টাকার পরিমাণ যেন ৫ লক্ষ টাকা থেকে কমানো হয়। আজ কামরূপ জেলা ও দায়রা আদালত দু’টি আবেদনই মেনে নেয়। তিন লক্ষ টাকার বিনিময়ে তিনি জামিন পেলেন। অসমে সন্ত্রাসের বলি হওয়া পরিবারগুলির যৌথমঞ্চ আদালতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। ২০০৮-এর ৩০ অক্টোবর অসমে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটায় ৯১ জন মারা যান। জখম হন শতাধিক। সেই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ছিলেন রঞ্জন। এরপর ভীমাজুলি হত্যাকাণ্ড, শোণিতপুরে ২৩ জনকে হত্যা-সহ আরও বহু হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পিছনে রঞ্জনের হাত রয়েছে। ২০১০-এর মে মাসে বাংলাদেশে গ্রেফতার হন রঞ্জন। এরপর রঞ্জন ভারতের হাতে আসে। নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখায় নিষেধাজ্ঞা, নিয়মিত আদালতে হাজিরা ও তিন লক্ষ টাকার বিনিময়ে আজ রঞ্জনের জামিন মঞ্জুর হয়। ১৪টি মামলা চলছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এর মধ্যে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ-সহ আজ অবধি মোট ৯টি মামলায় তিনি জামিন পেয়ে গেলেন। আরও পাঁচটি মামলার শুনানি চলছে। সবগুলিতে জামিন পেলে তবে রঞ্জন বাইরে আসবেন।
|
জরুরি অবস্থার সময়ে সঞ্জয় গাঁধীকে তিন বার খুন করার চেষ্টা হয়েছিল। ১৯৭৬ সালে দিল্লির মার্কিন দূতাবাসের একটি বার্তায় এ কথা জানিয়েছিলেন দূতাবাসের তৎকালীন কর্তারা। সম্প্রতি ওই বার্তাগুলি প্রকাশ করেছে উইকিলিকস ওয়েবসাইট। মার্কিন দূতাবাসের বার্তা অনুযায়ী, কোনও অজ্ঞাত আততায়ী ছক কষে সঞ্জয়কে খুন করার চেষ্টা করছে। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থায় নিজেদের সূত্র থেকে তাঁরা এ খবর পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন কর্তারা। আর একটি মার্কিন বার্তার বক্তব্য, জরুরি অবস্থার সময়ে সঞ্জয় গাঁধীর কর্তত্বের বিরুদ্ধে কংগ্রেসে আপত্তি জানিয়েছিলেন কেবল প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সি ও এ কে অ্যান্টনি। |