বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ভারতে প্রদর্শনের বিধি-নিষেধ তুলে নেওয়ার জন্য নয়াদিল্লির কাছে আর্জি জানালো ঢাকা। আজ বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী মণীশ তিওয়ারি। বৈঠকে সার্বিক ভাবে দু’দেশের সংস্কৃতি ও তথ্য যোগাযোগের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে
কথা হয়েছে।
বাংলাদেশের মন্ত্রী জানিয়েছেন, দু’দেশের বাজার খুলে গেলে বাংলা চলচ্চিত্রই লাভবান পাবে। উপকৃত হবেন এই শিল্পে যুক্ত দু’দেশের অজস্র মানুষ। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্কও তাতে অক্সিজেন পাবে। তিওয়ারি জানিয়েছেন, নীতিগত ভাবে তিনি ইনুর সঙ্গে একমত। কিন্তু এ ব্যাপারে কিছু আইনগত বাধা রয়েছে। সেগুলি নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলিও যাতে ভারতে দেখা যায়, সে বিষয়েও দিল্লিকে সক্রিয় হতে আর্জি জানিয়েছেন ইনু। দুই সরকারের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একটি সবিস্তার প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের প্রস্তাবও আজ বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী দিয়েছেন। তিওয়ারি আশ্বাস দিয়েছেন, বাংলাদেশের অনুরোধগুলি তিনি বিবেচনা করে দেখবেন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও আলোচনা করবেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধে যে সব ভারতীয় সেনা প্রাণ হারিয়েছিলেন, তাঁদের সম্মান ও স্বীকৃতি দিতে চায় বাংলাদেশ সরকার। এই সেনাদের একটি তালিকা আগেই ভারতের কাছে চেয়েছে ঢাকা। তাঁরা কে কোন জায়গায় নিহত হয়েছিলেন, তা নিয়ে দু’দেশের যৌথ গবেষণার কথাও এ দিন বলেছেন ইনু।
বৈঠকের পর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আলোচনাচক্রে বক্তৃতা দিয়েছেন হাসানুল হক ইনু। বাংলাদেশে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ওই বক্তৃতায় সে দেশের মৌলবাদী দলগুলির সমালোচনা করেছেন তিনি। ইনু বলেন, অগণতান্ত্রিক সামরিক শাসকরাই মৌলবাদীদের বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তারা এখন দেশে তালিবানি শাসন কায়েমের কর্মসূচি নিয়েছে। |