গত ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে তাঁরা রামপুরহাট কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন পূর্ণ ফি দিয়েই। পরবর্তী সময়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাঁদের মধ্যে কয়েক জনের সম্পূর্ণ ও বাকিদের অর্ধেক ফি মকুব করে দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই পড়ুয়াদের অভিযোগ, আজও পর্যন্ত কলেজ কর্তপক্ষ ফি মকুব বাবদ তাঁদের প্রাপ্য টাকা ফেরত দেননি। বৃহস্পতিবার তারই প্রতিবাদে ছাত্র পরিষদ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ জোটের ক্ষমতায় থাকা ছাত্র সংসদ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে ঘেরাও করল। আধ ঘণ্টা পরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের আশ্বাসে ঘেরাও অবশ্য উঠে যায়।
ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নুর আলমের দাবি, “ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের প্রাপ্য টাকা চেয়েও ফেরত পাচ্ছেন না। কলেজ কর্তৃপক্ষের গড়িমসির জন্যই সাধারণ ছাত্রছাত্রীর হয়রানি হচ্ছে।” তাঁর অভিযোগ, “কলেজ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার জন্য কলেজের ভেতরে সহজেই বহিরাগতেরা ঢুকে পড়ছে। পড়ুয়াদের মারধর করার মতো ঘটনাও ঘটছে। এ দিনই ছাত্র সংসদের এক নির্বাচিত প্রতিনিধিও বহিরাগত দুষ্কৃতীদের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন।” এ দিকে, ছাত্র সংসদের দাবি, কর্তৃপক্ষের কাছে কলেজের প্রধান গেটে একজন নিরাপত্তারক্ষী রাখার জন্য বারবার আবেদন করা হলেও এখনও সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আজ, শুক্রবার থেকে কলেজের প্রধান গেটে নিরাপত্তারক্ষী না রাখা হলে, ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে কলেজ বন্ধের হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
রামপুরহাট কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জয়দেব পান বলেন, “ওই পড়ুয়াদের টাকা অবশ্যই ফিরিয়ে দেওয়া হবে। কলেজের কম্পিউটারে যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় সেই কাজ এখনও শুরু করা যায়নি। খুব শীঘ্রই এ নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” তাঁর দাবি, “নিরাপত্তারক্ষী না বসলে ছাত্র সংসদ কলেজ বন্ধের ডাক দিয়েছে। আমরা কিন্তু কখনই চাই না এমনটা হোক। আসলে কলেজে স্থায়ী কর্মীর অভাব রয়েছে, তাই বিষয়টি এখনও কার্যকর করা যায়নি।” এ দিকে, ছাত্র সংসদের হুমকির মুখে দাঁড়িয়ে নিরাপত্তরক্ষী মোতায়েন নিয়ে পরিচালন সমিতির সঙ্গে দ্রুত আলোচনায় বসা হবে বলে জানিয়েছেন জয়দেববাবু। তাঁর আশ্বাস, “দু’-এক দিনের মধ্যেই কলেজের প্রধান গেটে একজন রক্ষী মোতায়েন করা হবে।” |